সামনে সমুদ্র সফেন, লাক্ষাদ্বীপে ‘পরম সুখপ্রাপ্তি’ মোদির

সামনে সমুদ্র সফেন, লাক্ষাদ্বীপে ‘পরম সুখপ্রাপ্তি’ মোদির
নয়াদিল্লি: মলদ্বীপ বা মরিশাসকে রীতিমতো গোল দিতে পারে ভারতের লাক্ষাদ্বীপ। সেখানে পা রেখে পরম সুখ প্রাপ্তি হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। নীল জলের সাদা ফেনা পায়ে মেখে সাতসকালে হেঁটে বেড়ালেন সমুদ্রসৈকতে। বালির উপর আরামকেদারায় বসে সময় কাটালেন নিজের সঙ্গে। লাক্ষাদ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শুধু নিজেই উপভোগ করলেন না, সেই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের সঙ্গে ভাগও করে নিলেন মোদি। (Narendra Modi)

লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানে ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মোদি। তবে কাজ নিয়েই শুধু ব্যস্ত থাকেননি। তার ফাঁকে ঘুরে দেখেছেন চারপাশও। সমুদ্রসৈকতে হাঁটাহাঁটির পাশাপাশি, নীল জলে নেমে স্নরকেলিং-ও করেছেন। মোদি জানিয়েছেন, লাক্ষাদ্বীপে গিয়ে অদ্ভুত প্রশান্তি পেয়েছেন তিনি। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কল্যাণে আরও পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। (Modi in Lakshadweep)

লাক্ষাদ্বীপ সফরের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন মোদি, তাতে কালো কুর্তা এবং কালো শাল গায়ে সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বালির উপর আরামকেদারা পেতে কখনও আবার মগ্ন দেখা গিয়েছে চিন্তার সাগরে। পেশাদারদের সহযোগিতায়, লাইফ জ্যাকেট গায়ে চাপিয়ে জলেও নেমেছেন। স্নরকেলিং-এর খুঁটিনাটি বুঝে নিয়ে ডুব দিয়েছেন গভীর জলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।

লাক্ষাদ্বীপ সফরের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদি লেখেন, ‘আদিম সমুদ্রসৈকত ধরে ভোরের প্রাতর্ভ্রমণে পরম সুখের প্রাপ্তি’। তিনি আরও লেখেন, ‘লাক্ষাদ্বীপের মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ হল সম্প্রতি। সেখানকার দ্বীপগুলির সৌন্দর্যে এবং সেখানকার মানুষের উষ্ণ অব্যর্থনায় এখনও অভিভূত আমি। অগাত্তি, বঙ্গারাম এবং কবরত্তীতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়। আতিথেয়তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ…’।

স্নরকেলিং-এর অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করে মোদি লেখেন, ‘লাক্ষাদ্বীপে থাকাকালীন স্নরকেলিং-এও যাই। দারুণ আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা! জীবনে রোমাঞ্চ খুঁজে বেড়ান যাঁরা, তাঁদের বেড়ানোর তালিকায় অবশ্যই লাক্ষাদ্বীপকে রাখা উচিত’। স্নরকেলিংয়ে গিয়ে জলের নিচে যে প্রবাল প্রাচীর, সামুদ্রিক প্রাণীর দেখা পেয়েছেন, সেই সব ছবিও সকলের সামনে তুলে ধরেছেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘লাক্ষাদ্বীপ শুধুমাত্র পাশাপাশি গজিয়ে ওঠা কিছু দ্বীপ নয়, ঐতিহ্যের প্রতীক এবং সেখানকার মানুষের অন্তরাত্মার চিরকালীন সাক্ষী’। লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনের উপর বিশেষ করে জোর দিয়েছেন মোদি।

(Feed Source: abplive.com)