লেখাপড়া বা কর্মসূত্রে প্রিয়জন কি বিদেশে থাকেন? ‘সাইবার কিডন্যাপিং’ থেকে বাঁচবেন কী করে?

লেখাপড়া বা কর্মসূত্রে প্রিয়জন কি বিদেশে থাকেন? ‘সাইবার কিডন্যাপিং’ থেকে বাঁচবেন কী করে?

কলকাতা: এও এক ধরনের ‘কিডন্যাপিং’ (Cyber Kidnapping), তবে বাস্তবে নয়। ভার্চুয়ালি। অর্থাৎ সবটা হবে সাইবার-জগতে। সেখানেই ভয় দেখিয়ে, বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতাবে অপরাধীরা। একেবারে নতুন ধরনের এই অপরাধের নাম ‘সাইবার কিডন্যাপিং’।

এও কি সম্ভব?
কোনও গাঁজাখুরি গল্প নয়। হালে আমেরিকার এক চিনা পড়ুয়ার সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রের নাম Kai Zhuang। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১৭ বছরের ওই কিশোর আমেরিকার উটাহ প্রদেশের যে হাইস্কুলে লেখাপড়া করত, সেই স্কুলই বাড়ির লোককে জানায় যে সে ‘মিসিং।’ পরে, গভীর জঙ্গলের ভিতর, একটি তাঁবু থেকে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। কিন্তু কী ভাবে সেখানে পৌঁছল Kai? এখানেই লুকিয়ে সাইবার কিডন্যাপিংয়ের আসল ‘স্ট্র্যাটেজি’। পুলিশ জেনেছে, এক্ষেত্রে ‘ভিক্টিম’-কে ভয় দেখানো হয় যে, ‘কিডন্যাপারদের’ কথামতো কাজ না করলে তাদের পরিবারের চরম ক্ষতি করা হবে। এতটাই ভয় পাওয়ানো হয় যে, ‘কিডন্যাপারদের’ সমস্ত নির্দেশ মেনে চলতে রাজি হয়ে যায় ‘ভিক্টিম’। প্রথমে তাকে কোনও প্রত্যন্ত জায়গায় চলে যেতে বলা হয়। তার পর সেখান থেকে এমন ভাবে ছবি পাঠাতে বলা হয় যাতে মনে হয়, কেউ তাকে বেঁধে রেখেছে। এবার সেই ছবি এবং ভিডিও ভিক্টিমের পরিবারকে পাঠিয়ে ইচ্ছামতো অঙ্কের অর্থ চাওয়া হয়। ওই চিনা পড়ুয়ার পরিবারের থেকে যেমন ৮০ হাজার মার্কিন ডলার আদায় করে অপরাধীরা, জানিয়েছে নানা সংবাদমাধ্যম।আমেরিকায় পাঠরত বিদেশি পড়ুয়ারাই সাধারণ ভাবে এই ধরনের অপরাধীদের নজরে রয়েছে। বিশেষত চিনা পড়ুয়াদের ‘সাইবার কিডন্যাপিং’ করে বিপুল অর্থ আদায় এখন বিশেষ ‘পছন্দ’ তাদের।তবে তার মানে এই নয় যে বিদেশে পাঠরত অন্য দেশের পড়ুয়ারা নিরাপদ। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? কী ভাবে এই ধরনের বিপদের মোকাবিলা করা যায়?

সাইবার কিডন্যাপিং মোকাবিলার উপায়…
কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার।

    • পরিবার বা পরিজনদের নিয়ে কোনও বিপদের খবর এলে চোখ-কান-বন্ধ করে বিশ্বাস করবেন না। অন্য সূত্র থেকেও ওই খবর যাচাইয়ের চেষ্টা করুন।
    • পারলে একেবারে নিজেদের মতো, গোপন কোনও ‘ফ্রেজ’ বা ‘শব্দবন্ধ’ তৈরি করুন যা শুধু আপনি ও আপনার পরিবার জানবে। অনেকটা গোপন কোডের মতো। কোনও প্রতারক আপনার পরিজন সেজে কথা বললেও এই কোড তার জানার কথা নয়। ফলে আপনি বুঝে যেতে পারবেন।
    • আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থা ও টেলিকম সংস্থাগুলি এই ধরনের অপরাধ কমাতে কতটা কড়া পদক্ষেপ করতে পারে, সেটাও ভেবে দেখা দরকার।
    • আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কতটা প্রকাশ্যে আসছে, সে সম্পর্কে আরও একটু সতর্ক থাকা দরকার।

(Feed Source: abplive.com)