কঠিন গ্রুপ বলে ভেঙে পড়া যাবে না, Asian Cup-র আগে মানসিক শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত

কঠিন গ্রুপ বলে ভেঙে পড়া যাবে না, Asian Cup-র আগে মানসিক শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত

আর বাকি নেই একটি সপ্তাহও! ১২ জানুয়ারি শুরু হবে ‘এএফসি এশিয়ান কাপ’ টুর্নামেন্ট। ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করে জোড় কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী সবকটি দল। একই অবস্থা ভারতীয় শিবিরেও। আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ‘ব্লু টাইগার্স’। তার আগে দলের ফুটবলারদের সবদিক দিয়ে প্রস্তুত করছে হেড কোচ ইগর স্টিম্যাচ। বিশেষ করে ‘সেট পিস’এর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে গোটা দল। তবে এরই মাঝে, ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে উঠে এলো একটি ব্যস্ততার চিত্র। বড় টুর্নামেন্টে নামার আগে জিম থেকে ধ্যান কোনও কিছুই বাদ দিচ্ছেন না দলের ফুটবলাররা। চলতি আইএসএলে বড় ধাক্কা খাওয়া মোহনবাগানের ফুটবলারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় দলের হেড কোচ।

দলের ফুটবলারদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে একাধিক পদ্ধতি কাজে লাগাচ্ছেন হেড কোচ ইগর স্টিম্যাচ। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী শারীরিক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দোহার টিম হোটেলে সকালে লাগাতার জিম করছেন সুনীল ছেত্রী থেকে শুরু করে দলের বাকি ফুটবলাররা। এরপর মধ্যাহ্নভোজে হাল্কা সঙ্গীতে ৪৫ মিনিট থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধ্যান এবং সন্ধ্যেবেলায় কড়া অনুশীলন। এর প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে দলের সদস্যদের বক্তব্য, তাদের গ্রুপের বাকি দলগুলি অত্যন্ত শক্তিশালী, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া বরাবরই বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে আর সেই কারণেই অনুশীলনের পাশাপাশি মানসিক শক্তি চাপ মুক্ত থাকাও জরুরি।

মোহনবাগানের ফুটবলারদের উজ্জীবিত করার প্রসঙ্গে ইগর বলেন, ‘আমাদের দলে অনেক ফুটবলার রয়েছে যারা মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত। আইএসএলে পরপর তিনটি ম্যাচ হেরে মানসিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে তারা। তাই আমি মনে করি বড় ম্যাচে নামার আগে ওদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করা প্রয়োজন। তাই ওদের উপর একটু বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’ যদিও সবুজ-মেরুন দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু জানিয়েছেন যে তারা ম্যাচের জন্য প্রস্তুত এবং মাঠে নিজেদের সেরাটা দেবে।

উল্লেখ্য, আসন্ন ‘এএফসি এশিয়ান কাপ’ টুর্নামেন্ট শুরু ১২ জানুয়ারিতে এবং ফাইনাল ম্যাচটি হবে ১০ ফেব্রুয়ারিতে। এবারের আয়োজক দেশ গতবারের জয়ী দল কাতার। ৯টি স্টেডিয়াম বাছা হয়েছে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলির জন্য। মোট অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ২৪ এবং তাদের ভাগ করা হয়েছে ৬টি গ্রুপে। অর্থাৎ প্রতিটি গ্রুপে থাকবে চারটি করে দল। প্রথমদিন কাতার মুখোমুখি হবে লেবাননের। জানুয়ারি মাসের শেষেরদিকে শুরু হবে ‘নকআউট পর্ব’। ফাইনাল ম্যাচটি খেলা হবে লুসাইল স্টেডিয়ামে। এবার দেখার বিষয় শেষে গিয়ে কোন দলের কপালে জোটে জয়ী তকমা। জানা যাবে আর দুই মাসের মধ্যে।

(Feed Source: hindustantimes.com)