আর যা…
বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ কোন্দলের জল্পনা ঘিরে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। এর মধ্যে শোনা যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি নিজের লোকসভা ডায়মন্ড হারবারেই কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখতে চান। যদিও এদিন পৈলানের সভায় তিনি বলেছেন, ‘ডায়মন্ড হারবার আমার কাছে প্রাধান্য পাবে। তবে দল যে দায়িত্ব দেবে, তাই পালন করব।’ সব ধরনের অন্তর্কলহ বা অন্তর্দ্বন্দ্বের জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তাঁর দাবি, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়বে। তাঁর কথায়, ‘অনেকে বলছেন তৃণমূলে নতুন-পুরনোদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। কোথাও কোনও দ্বন্দ্বের জায়গা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই দল ঐক্যবদ্ধ। দল আমাকে নবজোয়ার যাত্রার দায়িত্ব দিয়েছিল। পালন করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে দল চালাচ্ছেন। আমার যা সামর্থ, সেই অনুযায়ীই কাজ করব।’
তবে একই সঙ্গে তিনি বয়সের সীমাবদ্ধতার কথাও মনে করিয়ে দেন। অভিষেকের কথায়, ‘আজ আমার ৭০ বছর বয়স হলে কী পারব দু-আড়াই মাস রাস্তায় হাঁটতে? আমার বয়স এখন কম। তাই পারছি। ৭০ বছর বয়স হলে কী পারব? ২৫ বছরের ছেলে যে পরিশ্রম করতে পারবে, ৫৫-৬০ বছর বয়স হলে তো সে করতে পারবে না। খেলার ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য, রাজনীতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, আমি সেই কথাটাই বলেছি।’ সঙ্গে এও মনে করান, তিনি ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী হলে নিজের লোকসভা কেন্দ্রকে দেখবেন।
প্রার্থীপদ নিয়ে…
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা থেকে অন্য দলের প্রার্থীদের যে সম্ভাব্য নাম শোনা যাচ্ছে, সেই নিয়েও এদিন বলতে শোনা যায় অভিষেককে। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন আমি ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়ব। লড়তেই পারেন, অসুবিধা কোথায়। ছোট-বড়-মাঝারি যে নেতা আছেন, আসুন, কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ভোটের পর আবার অন্য কোনও অজুহাত দেবেন না। আগেও তো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করেছেন, ফল কী হয়েছে, সেটা সবাই জানে।’ এদিন বার্ধক্য ভাতা প্রদান কর্মসূচিতে তৃণমূল সাংসদকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আপনি ২ কোটি চাকরি, ১৫ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুই করেননি। আমরা যা বলি, তাই করে দেখাই। ‘আমরা যে বার্ধক্যভাতা দিচ্ছি, সেটা কোনও দান বা উপকার নয়, এটা আপনার অধিকার।’ এর পরই অঙ্গীকার, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিলাম।’
(Feed Source: abplive.com)