কী জানিয়েছে সরকার?
মলদ্বীপ সরকারের তরফে ওই বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগের সময় গণতান্ত্রিকতার পাশাপাশি ও দায়িত্ববোধের বিষয়টিও মাথায় রাখা হবে, এমন ভাবে তা ব্যবহার করা যাতে মলদ্বীপ ও তার আন্তর্জাতিক সঙ্গীদের মধ্যে বিদ্বেষ ও নেতিবাচকতার আবহ তৈরি না হয়, এমনই আশা করি আমরা।’ এতেই শেষ নয়। বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, যে বা যারা এই ধরনের আপত্তিজনক মন্তব্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেও দ্বিধাবোধ করবে না সরকার। তা হলে নিজেরই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে মলদ্বীপ? সরকারি বিবৃতিতে সেই রকম ইঙ্গিত থাকলেও স্পষ্ট কিছু বলা নেই। তবে যে ভাবে এদিন সকাল থেকে অক্ষয় কুমার, সলমন খান থেকে একঝাঁক বলিউড তারকা মলদ্বীপের মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের বিরোধিতায় সুর চড়ান ও জানিয়ে দেন এর পর থেকে দেশীয় পর্যটনেই উৎসাহ দেবেন, তাতে দ্রুত পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে বলে প্রমাদ গোনে মলদ্বীপ প্রশাসন। তার পরই এই বিবৃতি।
যেখান থেকে বিতর্ক…
মলদ্বীপের ডেপুটি মিনিস্টার অফ ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট মরিয়ম শিউনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির হালের লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে একটি আপত্তিজনক পোস্ট করেছেন। পোস্টটিতে প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ-সফরের কিছু ছবিও ছিল। পরে সেই পোস্ট মুছে দেওয়া হলেও এই নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু কাছে দাবি জানান, এই নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে বিবৃতি দেওয়া হোক। তার পর, বিকেলের এই বিবৃতি আসতেই নড়েচড়ে বসে আন্তর্জাতিক মহল। এমনিতে মলদ্বীপে ক্ষমতাবদলের সঙ্গে দু-দেশের সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টে গিয়েছে। চিনের প্রতি নরম বলে পরিচিত মহম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর অনেকেরই ধারণা, এবার মলদ্বীপে বেজিংয়ের প্রভাব বাড়বে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এই বিতর্ক সেই সম্পর্কে নতুন কোন মাত্রা যোগ করল, তা সময়ই বলবে।
(Feed Source: abplive.com)