ড্রাইফ্রুটসের সঙ্গে বিয়ার, ঢেঁকুর তুলেই দিন কাবার, নব্য রাখালের জ্বালায় অস্থির চারপেয়েরা

ড্রাইফ্রুটসের সঙ্গে বিয়ার, ঢেঁকুর তুলেই দিন কাবার, নব্য রাখালের জ্বালায় অস্থির চারপেয়েরা
নয়াদিল্লি: পৃথিবীর তাবড় ধনকুবেরদের মধ্যে অন্যতম তিনি। ভার্চুয়াল জগতের বড় অংশই তাঁর হাতে পরিচালিত হয়। ফেসবুক কর্ণধার সেই মার্ক জাকারবার্গ নাকি নিজের গোশালা খুলে ফেলেছেন। সেখানে খাইয়ে-দাইয়ে গরু-বাছুর বড় করছেন তিনি। যে সে খাবার নয়, রোজ গরু-বাছুরের ডাবায় দামি ড্রাইফ্রুস পড়ছে। তেষ্টা মেটাতে নাকি ঢেলে দেওয়া হচ্ছে বিয়ারও। হঠাৎ গো-পালনের শখ হল কেন ধনকুবেরের, প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তার যে উত্তর দিয়েছেন জাকারবার্গ, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না অনেকেই। (Mark Zuckerberg)

কোটি কোটি টাকার মালিক হলে অদ্ভত কিছু শখও জন্মায় আপনা আপনিই। এমন হাজারো শখ রয়েছে জাকারবার্গেরও, যার মধ্যে রয়েছে জিজিৎসু এবং দৌড়ে বেড়ানোও। প্রশিক্ষিত কম্যান্ডোদের দৌড়ে টেক্কা দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন জাকারবার্গ। আবার আর এক ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে কুস্তি লড়ারও স্বপ্ন দেখেন তিনি। সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় মাস্ককে তার জন্য চ্যালেঞ্জও ছোড়েন। (Mark Zuckerberg Raising Cows)

একই ভাবে গরু-বাছুর পালনেরও শখ রয়েছে জাকারবার্গের। নিজের জন্য আস্ত গোশালাও খুলে ফেলেছেন তিনি। সেখানে এলাহি আয়োজন চারপেয়েদের জন্য। ড্রাইফ্রুটস, বিয়ার রয়েছে তাদের ডায়েটে। কোটিপতি মানুষ, গরু-বাছুরকে বিলাসিতার সুযোগ করে দিচ্ছেন ভাবলে ভুল হবে। বরং খাইয়ে দাইয়ে কার্যতই হাড়িকাঠে তোলার বন্দোবস্ত করছেন।

হাওয়াইয়ে একটি দ্বীপের মালিক জাকারবার্গ। সেখানে একটি গোশালাও রয়েছে তাঁর।  সেখানে গোরু-বাছুর প্রতিপালন করছেন বলে ইনস্টাগ্রামে নিজেই ঘোষণা করেছেন জাকারবার্গ। জানিয়েছেন, Wagyu এবং Angus, এই দুই প্রজাতির গরু প্রতিপালন করছেন তিনি। তাদের ডায়েটে রয়েছে মূলত বাদাম এবং হাতে তৈরি বিয়ার। এমন ডায়েটে গরু-বাছুর আরও নধর হয়ে ওঠে। তাদের মাংসও আরও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। গোমাংসের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে জাকারবার্গের। পৃথিবীর সেরা গোমাংস উৎপাদন করতেই গরু-বাছুরের এমন যন্তআত্তি করতে নেমে পড়েছেন তিনি।

তবে শুধুমাত্র নিজের রসনাতৃপ্তির জন্য নয়, পশুপালক এবং কৃষকদের জন্যও গোপালনে উদ্যোগী হয়েছেন জাকারবার্গ। একেবারে গাছ থেকে পেড়ে আনা বাদাম এবং হাতে তৈরি বিয়ারই গরু-বাছুরকে খাওয়ান জাকারবার্গ। সেই খেয়ে বেড়ে ওঠা গরুর মাংস যদি সুস্বাদু হয়, তাহলে ওই গাছ বসানোয় এবং বিয়ার উৎপাদনও লাভজনক হবে বলে আশাবাদী তিনি।

বেশ কয়েক বছর আগে নিজেকে শর্তসাপেক্ষ নিরামিষাশী ঘোষণা করেন জাকারবার্গ। জানান, নিজে হাতে যদি কিছু শিকার করেন, সে গরু-বাছুর, শূকর, ছাগল, মাছ যা-ই হোক না কেন, তবেই আমিষ খাবেন তিনি। বাকি সময় নিরামিষ খেয়ে থাকবেন। বাজার থেকে কিনে এনে মাছ-মাংস খাবেন না।

(Feed Source: abplive.com)