হেরেই মাঠ ছাড়তে হল ভারতকে

শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে আর আটকাতে পারল না ভারত। ০-২ হেরেই মাঠ ছাড়তে হল তাদের। এএফসি এশিয়ান কাপে গ্রুপ বি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল স্টিম্যাচের দল।

৬ মিনিট ইনজুরি টাইম

প্রথমার্ধে অস্ট্রেলিয়াকে আটকে রাখতে পারলেও, দ্বিতীয়ার্ধে আর সেটা সম্ভব হয়নি। বিরতির পর ভারত ২ গোল হজম করে। নিজেরা কোনও গোলের সুযোগ দ্বিতীয়ার্দে সে অর্থে তৈরি করতে পারেনি। এখন নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। ছয় মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। এই ছয়  মিনিটে গোল খেয়ে যেতে পারে ভারত, গোল করার কোনও লক্ষণ নেই।

সুনীলকে তুলেন নিলেন স্টিম্যাচ

৮৯ মিনিট- জোড়া পরিবর্তন করলেন স্টিম্যাচ। তুলে নিলেন সুনীল ছেত্রীকে। ছাংতে আর ছেত্রীর জায়গায় নামলেন বিক্রম এবং মহেশ।

প্লেয়ার পরিবর্তন

৭৭ মিনিট- ফের পরিবর্তন করল ভারত। দীপক টাংরির পরিবর্তে নামলেন অনিরুদ্ধ থাপা।

প্লেয়ার পরিবর্তন

৭৫ মিনিট- জোড়া পরিবর্তন করল ভারত। শুভাশিস এবং সুরেশের পরিবর্তে নামলেন আকাশ মিশ্র এবং লিস্টন কোলাসো।

গোওওওওলললল… ২-০ করল অস্ট্রেলিয়া

৭৩ মিনিট- পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামার এক মিনিটের মধ্যে দলকে ২-০ এগিয়ে দেন জর্ডন বস। ম্যাকগ্রি বল নিয়ে আক্রমণে ওঠেন। তিনি পোস্টের কাছে দাঁড়ানো জর্ডন বসকে পেয়ে বল বাড়ান। এবং বস সুন্দর ভাবে গোল করে দলকে ২-০ এগিয়ে দেন।

প্লেয়ার পরিবর্তন

৭২ মিনিট- ফের জোড়া পরিবর্তন করল অস্ট্রেলিয়া। বস, ফরনারলির পরিবর্তে নামলেন গুডউইন আর ডিউক।

ভারতের সুযোগ

৬৬ মিনিট- ছাংতে বল পান এবং বাম টাচলাইনে তিনি তাঁর মার্কারকে কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রায়ান প্রথমে বল ক্লিয়ার করতে এসেছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যান। গোল ফাঁকা হয়ে যায়। ফাঁকা গোলে দূর থেকে বল জড়ানোর সুযোগ ছিল ছাংতের সামনে। কিন্তু তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

প্লেয়ার পরিবর্তন

৬৩ মিনিট- জোড়া পরিবর্তন করল অস্ট্রেলিয়া। মেটকাফ এবং বয়েলের পরিবর্তে নামলেন ম্যাকগ্রি এবং সিলভেরা।

ভারতের ১০ জন মিলে রক্ষণ সামলাতেও হিমশিম খাচ্ছে

৫৫ মিনিট- পুরোপুরি আক্রমণাত্মক খেলছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের দশ জন মিলে ডিফেন্ড করছে। দ্বিতীয়ার্ধে একমাত্র সুনীল ছেত্রী একা উপরে বলের পাওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছে। কিন্তু ভারত আক্রমণেই উঠতে পারছে না। তবে ম্যাচে ফিরতে হলে ভারতকে যত দ্রুত সম্ভব আক্রমণ উঠতে হবে, এবং গোল পেতে হবে। না হলে আরও গোল হজম করার সম্ভাবনা থাকবে।

গোওওওওলললল… ১-০ করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া

৫০ মিনিট- দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই গোল তারা বিরতির ঠিক পরেই পেয়েও গেল। আর অজিদের আটক রাখতে পারল না ভারত। বাঁ-দিক থেকে একটি ক্রস ভেসে আসলে, গুরপ্রীত বল সংগ্রহ করতে আসে। তিনি বলটি ধরে রাখতে পারেননি। সেটা সরাসরি আরভিনের কাছে চলে যায়। সেই বল ধরেই আরভিন বল জালে জড়ান। ১-০ এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু

প্রথমার্ধের মতো ভারত কি পারবে দ্বিতীয়ার্ধেও অস্ট্রেলিয়াকে আটকে দিতে? বিরতির পর খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তর পেতে এলে বাকি ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

বিরতিতে ফল ০-০

ম্যাচের প্রথমার্ধে ভারত বিশ্বকাপে খেলা অস্ট্রেলিয়া টিমকে কিন্তু আটকে দিল। গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। দুরন্ত খেলেছেন ভারতের ডিফেন্ডাররা। মাটি আঁকড়ে তাঁরা লড়াই করেছেন। সুনীল ছেত্রী যদি ম্যাচের ১৬ মিনিটে সহজ গোলের সুযোগ মিস না করতেন, তবে হয়তো ১-০ এগিয়ে থেকে বিরতিতে মাঠ ছাড়তে পারত ভারত।

পাঁচ মিনিট ইনজুরি টাইম

প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। খেলার ফল এখনও গোলশূন্য। বিশ্বকাপে খেলা অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ৪৫ মিনিট আটকে রাখতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে ভারত। তবে ৫ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। এখন না কোনও অঘটন ঘটে।

অখুশি স্টিম্যাচ

৪৫ মিনিট- ইগর স্টিম্যাচ একেবারেই খুশি নন। কারণ ঝিঙ্গানকে অস্ট্রেলিয়ার কর্নার ডিফেন্ড করার জন্য পিচে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তিনি লাইন্সম্যানদের সঙ্গে তর্ক জুড়েছেন।

বিপদ ঘটতে দিলেন না ঝিঙ্গান

৪২ মিনিট- একটি বিপদ ঘনিয়ে আসছিল। কিন্তু সাহসী পদক্ষেপ সন্দেশ ঝিঙ্গানের। তিনি সাহসী হেডারে বল ক্লিয়ার করেন কিন্তু রাউলসের সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁর চোট লাগে। ঝিঙ্গান মাটিতে পড়ে আছে, চিকিৎসা চলছে তাঁর।

অল্পের জন্য রক্ষা

৩৭ মিনিট- গুডউইন ফ্রি-কিক থেকে একটি বিপজ্জনক ক্রস বাড়ান। সেই ক্রস লক্ষ্য করে অজিরা বলের কাছে পৌঁছানোর আগে মনবীর এসে বল ক্লিয়ার করে দেন। কর্নার পায় অস্ট্রেলিয়া।

খেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা অজিদের

৩০ মিনিট- মেটকাফ বল ধরে সোজা আক্রমণের লক্ষ্যে উঠতে থাকেন। তবে পূজারি তাঁকে আটকাতে মরিয়া ছিলেন। কিন্তু এতে বিপদ কাটেনি। এবং বল পেয়ে বয়েল একটি ক্রস বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রাহুল ভেকে সেই বল ক্লিয়ার করে দেন। এবং কর্নার পায় অস্ট্রেলিয়া। ধীরে ধীরে কিন্তু খেলার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে অজিরা। তবে হাল ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতও।

নিজের ভুলে গোল হজম করতে বসেছিলেন গুরপ্রীত

২১ মিনিট- গুরপ্রীত বিশাল ভুল করে বসেছিলেন! ভাগ্যিস কোনও বিপদ ঘটেনি! গুরপ্রীত গোলকিক বাঁচাতে গিয়ে তিনি সরাসরি অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাঠিয়ে দেন। মেটকাফ বল পান এবং তিনি সেই বল ধরে গোলে লক্ষ্য করে সজোরে মারেন। তবে সেই শটটি সোজা গুরপ্রীতের কাছেই যায়। তিনি সেভ করেন। ভারত হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।

সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট সুনীলের

১৬ মিনিট- বল নিয়ে ডান ফ্ল্যাঙ্কে ছিলেন পূজারি। কিন্তু তিনি জায়গা পাল্টে বাঁ-দিকের ফ্ল্যাঙ্ক থেকে আক্রমণে ওঠেন। পাস না বাড়িয়ে তিনি অজি ডিফেন্ডারদের ডজ দিয়ে উপরে উঠে আসেন। এবং তিনি অস্ট্রেলিয়ার বক্সের ভিতরে গোলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সুনীলকে লক্ষ্য করে বাতাসে বল ভাসান। হেডে নিশ্চিত গোল ছিল। কিন্তু সুনীল অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। কপাল চাপড়াচ্ছেন স্টিম্যাচ। ১-০ করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়ে গেল ভারতের।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালাচ্ছে ভারত

৯ মিনিট- ছাংতে বাঁ-দিক থেকে বল নিয়ে উপরে ওঠেন। তাঁর বাড়ানো লো ক্রস পোস্টের কাছে দাঁড়ানো মনবীর ধরে টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন করে, নিজের জন্য কিছুটা জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেননি তিনি।

বলের নিয়ন্ত্রণ হারানো চলবে না ভারতের

৮ মিনিট- ফাইনাল থার্ডে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিজের চাপ বাড়াল ভারত। অস্ট্রেলিয়া বল পেয়ে আক্রমণে ওঠে। তবে শুভাশিস বসু বিপদকে আটকাতে মজুত ছিলেন এবং তিনি বল ক্লিয়ার করে দেন।

ভালো প্রয়াস ভারতের

৩ মিনিট- অসাধারণ একটা বল বাড়ালেন সুরেশ! তিনি মাঠমাঠে বলটি পান, এবং বাঁ ফ্ল্যাঙ্কে ছাংতের জন্য একটি দুর্দান্ত থ্রু বল বাড়ান। ছাংতে তাড়াতাড়ি বলটি নিয়ে পাস বাড়ান। কিন্তু শুধু সুনীল ছেত্রী হেড মিস করেন। ভালো মুভ ছিল ভারতের। কাজে লাগাতে পারলে আত্মবিশ্বাস পেয়ে যেত স্টিম্যাচ ব্রিগেড।

খেলা শুরু

অস্ট্রেলিয়ার বিরদ্ধে সুনীল ছেত্রীদের কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে সাফল্য পাবে ভারত? খেলা শুরু হয়ে গেল। এবার ৯০ মিনিটে পাওয়া যাবে এই প্রশ্নের উত্তর।

দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত শুরু

দুই দলই মাঠে নেমে গিয়েছে। দুই দলের জাতীয় সঙ্গীত শুরু হয়ে গিয়েছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে খেলা।

 অস্ট্রেলিয়ার একাদশ

আত্মবিশ্বাসী সুনীল

২০১১ সালে অজিদের কাছে হার নিয়ে ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী বলেন, ‘২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণা ছিল না। এখন সব তথ্য চোখের সামনে। প্যালেস্তাইন এবং বাহরিনের বিরুদ্ধে ওদের দু’টো ফ্রেন্ডলি দেখেছি। জানি ওরা কে কোন লিগে খেলে। প্রত্যেকের সম্পর্কে আলাদা করে তথ্যও রয়েছে আমাদের হাতে। এর ফলে মনের মধ্যে ভয়ের ভাবটা চলে গিয়েছে। জানি ওরা আমাদের থেকে অনেক উপরে। কিন্তু কাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি, সেটা আমরা জানি।’

স্টিম্যাচ উবাচ

ম্যাচের আগের দিন ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাচ বলেছেন, ‘ম্যাচের সময় যত এগিয়ে আসছে, তত আমরা উত্তেজিত। ১২ দিন কঠোর পরিশ্রম করেছি। প্রত্যেকে ভালো খেলতে মুখিয়ে রয়েছে। আশা করি ওরা এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।’ অজিদের সঙ্গে ভারতের লড়াইটা যে অসম, সে কথা মাথায় রেখে স্টিম্যাচের দাবি, ‘মাথায় রাখতে হবে ইউরোপিয়ান সার্কিটে খেলে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলাররা এশিয়ান কাপ খেলতে এসেছে। যারা ইউরোপিয়ান সার্কিটে প্রতি সপ্তাহে উন্নত মানের ম্যাচ খেলে। স্বাভাবিক ভাবে অস্ট্রেলিয়া দলের ফিটনেসও চূড়ান্ত জায়গায় থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।’ অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে সুনীলদের কোচ জোর দিয়েছেন সেট-পিসে। বলেওছেন, ‘কোনও ভাবেই সেট-পিস দেওয়া চলবে না। আমরা অস্ট্রেলিয়ার শক্তি জানি। ইংল্যান্ডকে (অক্টোবরের ফ্রেন্ডলিতে) প্রচুর সমস্যায় ফেলেছিল। আমরা জানি, ছোট সুযোগেও ওরা ঝড় তুলে দিতে পারে। আমাদের সব কাজই ঠিকঠাক করতে হবে।’

ভারতের একাদশ

পরিসংখ্যান কী বলছে?

মুখোমুখি সাক্ষাতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-১ এগিয়ে রয়েছে ভারত। কিন্তু এখনকার সময়ে এই পরিসংখ্যান হাস্যকরই লাগবে। কারণ ভারতের দু’টি জয়ই এসেছে সত্তর বছর আগে। শেষ ম্যাচটি খেলা হয়েছে ১৩ বছর আগে এই এশিয়ান কাপেই। গ্রুপ পর্বে সে বার ০-৪ গোলে হেরেছিল ভারত। খেলা হয়েছিল এই দোহাতেই।

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের আকাশপাতাল তফাৎ

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৫ নম্বরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সংস্করণের চ্যাম্পিয়ন। আর ভারতের ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০২ নম্বরে রয়েচে। কাগজে কলমে পার্থক্যটা এখানেই পরিষ্কার। শুধু র‌্যাঙ্কিংয়ের তফাৎ নয়, দু’দলের ফুটবলের মান, শারীরিক দক্ষতা, প্রতিভা সবেতেই আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কাতারে বিশ্বকাপ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। গত বার শেষ ষোলোতেও উঠেছে। খেলেছে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্তিনা এবং রানার্স ফ্রান্স দু’দলের বিরুদ্ধেই। ফলে ভারতের লড়াই যে অত্যন্ত কঠিন হবে, সেটা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই। আর এটাই হতে চলেছে সুনীল ছেত্রীদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।