সোনার জরির কাজ করা ধুতি ও অঙ্গবস্ত্রে ঝলমল করছে অলঙ্কার, কী ভাবে সাজলেন রামলালা?

সোনার জরির কাজ করা ধুতি ও অঙ্গবস্ত্রে ঝলমল করছে অলঙ্কার, কী ভাবে সাজলেন রামলালা?

অযোধ্যা: একেবারে নির্ঘণ্ট মেনে অযোধ্যায় রামলালার (Ayodhya Ram Mandir Inauguration) মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল আজ। রাজকীয় সাজে সাজানো হয়েছে শ্রীরামচন্দ্রের বিগ্রহকে (Ram Idol Ornaments)। অলংকারে সজ্জিত গোটা দেহ। ঠিক কী কী গয়নায় সাজানো হয়েছে তাঁকে?

যা জানা গেল…
শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানায়, ‘অধ্যাত্ম রামায়ণ’, ‘বাল্মিকী রামায়ণ’, ‘রামচরিতমানস’ ইত্যাদি পুঁথি ঘেঁটে রামলালার বিগ্রহের সাজের বিষয়টি স্থির করা হয়েছে। এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা করা হয়, দাবি ট্রাস্টের। তার পরই নির্দিষ্ট সাজপোশাকে সেজে উঠেছেন রামলালা।

    • বেনারসী কাপড়ে তৈরি হয়েছে তাঁর হলুদ ধুতি ও লাল অঙ্গবস্ত্র। খাঁটি সোনার জরি ও সুতোর কাজ করা রয়েছে তাতে। শঙ্খ, চক্র, পদ্ম এবং ময়ুরের চিহ্ন রয়েছে সেই বস্ত্রে।
    • বিগ্রহের সোনার মুকুটে হিরে, চুনি ও পান্নার সাজ ঝলমল করছে। মুকুটের ঠিক মাঝে রয়েছেন সূর্যদেব। উত্তর ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে সাযুজ্য় রেখে এই মুকুট তৈরি করা হয়েছে।
    • মুকুটের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি করা হয়েছে বিগ্রহের কর্ণকুন্ডল। তাতেও  হিরে ও চুনি বসানো রয়েছে।
    • রামলালার গলায় শোভা পাচ্ছে অর্ধচন্দ্রাকৃতি স্বর্ণহার। ফুলের কাজ করা এই হার একাধিক পাথর দিয়ে তৈরি। মাঝখানে সূর্যদেবের ছবি।
    • একেবারে হৃৎপিণ্ডের কাছে রয়েছে কৌস্তুভ মণি। বিশাল চুনি ও হিরে দিয়ে তৈরি এই মণির সঙ্গে হিন্দুদের বিশ্বাস জড়িয়ে রয়েছে। অনেকের ধারণা, শ্রীবিষ্ণু এবং তাঁর অবতারের প্রত্যেকে এই মণি ধারণ করেন।
    • অর্ধচন্দ্রাকৃতি গলার হারের পরেই রয়েছে আরও একটি গয়না। বিশাল পেনডেন্ট বসানো সেই গয়নাও দামি পাথরে সজ্জিত। ‘পাদিকা’ নামের এই অলংকারও মহার্ঘ বস্তু দিয়ে তৈরি।
    • এছাড়াও তৃতীয় একটি গয়না পরানো হয়েছে রামলালাকে। তার নাম ‘বৈজয়ন্তী’ বা ‘বিজয়মালা।’বাজুবন্ধ, কঙ্কন ও মুদ্রিকা তো রয়েছেই। কোমরের কাছে পরানো হয়েছে ‘কাঞ্চি’ বা  ‘করধানি।’ রয়েছে। সব মিলিয়ে একেবারে রাজকীয় সাজ রামলালার।

উদ্বোধন…
সংকল্প করলেন। প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন গর্ভগৃহে। তারপর ১১ দিনের আচার-বিধি শেষে উপবাস ভঙ্গ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বহু শতকের প্রতীক্ষার ঘটেছে অবসান। তারপর জনগনের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে গলা বসে আসে মোদির। ভাষণ শুরু করেন রামের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে। বলেন, ‘অনেক কিছু বলার আছে, কিন্তু কণ্ঠ অবরুদ্ধ’। আবেগতাড়িত হয়ে মোদি বলেন, ‘বহু শতাব্দীর অপেক্ষার পর রাম এলেন আমাদের মাঝে। এই মুহূর্ত একটা অলৌলিক মুহূর্ত’। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই মুহূর্ত এল। তাই তিনি বললেন, ‘আমাদের তপস্যায় কিছু তো খামতি ছিল, আজ তা পূরণ হল’। 

(Feed Source: abplive.com)