জ্ঞানবাপী মসজিদের আগে সেখানে মন্দিরের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছে ASI, দাবি আইনজীবীর

জ্ঞানবাপী মসজিদের আগে সেখানে মন্দিরের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছে ASI, দাবি আইনজীবীর

নয়াদিল্লি: অযোধ্যায় রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার তিনদিনের মাথায় চাঞ্চল্যকর দাবি জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) নিয়ে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (Temple Under Gyanvapi Mosque) রিপোর্টে, জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচে একটি বিশাল মন্দিরের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে বলে জানালেন আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন (Advocate Vishnu Shankar Jain)। জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দুদের তরফে মামলা লড়ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর এই দাবির পর হইচই পড়ে যায়।

কী দাবি?
সংবাদসংস্থা এএনআই বিষ্ণুশঙ্কর জৈনকে উদ্ধৃত করে বলে, ‘বর্তমান কাঠামোয় যে পিলার এবং প্লাস্টার ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি ধাপে ধাপে ও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছিল। অতীতে যে মন্দির ছিল, তার পিলার এবং প্লাস্টার সামান্য এদিক-ওদিক করে পুনর্ব্যবহার করা হয় বলে উঠে এসেছে।’ ওই আইনজীবীর আরও দাবি, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, করিডোর জুড়ে যে পিলার ও প্লাস্টার রয়েছে, তা আদতে পুরনো হিন্দু মন্দিরের অংশ। কিছু নির্দিষ্ট চিহ্ন নষ্ট করে এবং কোণার দিকে পাথরের অংশ সরিয়ে মসজিদে ফুলের নকশা করা হয় বলেও দাবি বিষ্ণুশঙ্কর জৈনের। তাঁর মতে, বর্তমানে মসজিদের পশ্চিম দিকের যে প্রাচীরটি রয়েছে, তা অতীতে হিন্দু মন্দিরের অংশ ছিল। আইনজীবীর কথায়, ‘বর্তমানে যে কাঠামো রয়েছে, তা তৈরির আগে ওখানে একটি হিন্দু মন্দির ছিল বলে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে এএসআই।’

আর যা…
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টের আরও কিছু খুঁটিনাটির কথা জানান তিনি। যেমন, তাঁর মতে, মসজিদের জমির নিচে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি মিলেছে বলেও জানতে পেরেছে এএসআই। এতেই শেষ নয়। বিষ্ণুশঙ্করের কথায়, ‘মসজিদের ভিতরের একটি ঘরে আরবি-ফার্সি ভাষায় খোদাই করা যে লেখা পাওয়া গিয়েছে, তাতে বোঝা যায় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রাজ্যাভিষেকের ২০ বছর পরে মসজিদটি তৈরি হয়। অর্থাৎ এর আগে যে কাঠামোটি ছিল, সেটি সম্ভবত সপ্তদশ শতকে  ভেঙে ফেলা হয়।’ তবে শুধু আরবি-ফার্সি ভাষায় খোদাই করা লেখা-ই প্রমাণ নয়, মনে করেন বিষ্ণুশঙ্কর। তাঁর আরও দাবি, সমীক্ষায়, দেবনাগরী, গ্রান্থা, তেলুগু এবং কন্নড় ভাষায় খোদাই করা ৩২টি লেখার হদিশ মেলে। এগুলিও প্রমাণ করে যে মসজিদের আগে সেখানে মন্দিরের কাঠামো ছিল, মত আইনজীবীর। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিচারক এ কে বিশ্বেশ নির্দেশ দিয়েছিলেন,  এএসআই-র সার্ভে রিপোর্ট হিন্দু-মুসলিম দু’তরফকেই দেওয়া হবে। তার পর, এদিন বিষ্ণুশঙ্কর জৈনের এমন দাবিতে শোরগোল পড়ে যায়।

(Feed Source: abplive.com)