বছরে ৩০০০০ ভারতীয় পড়ুয়া চায় ফ্রান্স, শিথিল হচ্ছে ফরাসি জানার বাধ্যবাধ্যকতাও

বছরে ৩০০০০ ভারতীয় পড়ুয়া চায় ফ্রান্স, শিথিল হচ্ছে ফরাসি জানার বাধ্যবাধ্যকতাও

ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য বড় সুযোগ ফ্রান্সের তরফে। ভারতীয় পড়ুয়াদের প্রজাতন্ত্র দিবসের উপহার দিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফরাসি প্রেসিডেন্ট শুক্রবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। তাতে জানিয়েছেন, ‘‌২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রীকে ফ্রান্সে পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এটি শক্ত টার্গেট। তবে ফ্রান্স এই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’‌

এছাড়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বলেছেন, যাঁরা ফরাসি ভাষা জানেন না, তাঁরাও পড়তে পারবেন। ভাষা যাতে উচ্চশিক্ষায় বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ফ্রান্স এবং ভারত একসঙ্গে মিলে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেছেন, ফ্রান্সে পড়াশোনা করেছেন, এমন প্রাক্তন ভারতীয় ছাত্রদের ভিসা প্রক্রিয়াও সহজ করে দেওয়া হবে।

বলাবাহুল্য, ফ্রান্স বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির আবাসস্থল। এখানে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। ফরাসি ভাষা না জানলেও ফ্রান্সে পড়াশোনা করা সম্ভব হবে বলে ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঘোষণা থেকে জানা যায়। ফরাসি ভাষা শেখার জন্য বিভিন্ন সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুতে, ঘোষণার পরে, ভারতে ফরাসি দূতাবাস আরও ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য পাঁচ বছরের স্বল্প-স্থায়ী শেনজেন ভিসা সহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছিল। এই উদ্যোগগুলি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের তিনটি স্তম্ভের একটি হিসাবে কল্পনা করা জনগণের মধ্যে সম্পর্কের অংশ। এই ঘোষণা ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও এই ঘোষণা সহায়ক হবে। ফ্রান্সের এই ঘোষণার ফলে ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। এটি ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার জন্যও একটি ইতিবাচক দিক।

প্রসঙ্গত, আজ ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস। সে সুবাদে দিল্লি সেজে উঠেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দেশের স্বাধীনতার স্মরণে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপনের পরে শুরু হওয়া অমৃত কালের যাত্রার দুর্দান্ত উদযাপনে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। বিকশিত ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ‘আত্মনির্ভর’ সামরিক শক্তি এবং ক্রমবর্ধমান নারী শক্তি হল ৯০মিনিটের কুচকাওয়াজের প্রভাবশালী থিম যা দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্লাসিক প্রদর্শনের সঙ্গে প্রবল অশ্বারোহী সৈন্যদের একটি আনন্দদায়ক প্রদর্শনের সাক্ষী।

(Feed Source: hindustantimes.com)