H-1B ভিসার পুনর্নবীকরণের আবেদন জানানো যাবে আমেরিকা থেকেই, কিন্তু সময়সীমা কত?

H-1B ভিসার পুনর্নবীকরণের আবেদন জানানো যাবে আমেরিকা থেকেই, কিন্তু সময়সীমা কত?

নয়াদিল্লি: আমেরিকায় থেকেই এবার H-1B ভিসার (US Begins H-1B Visa Drive) পুনর্নবীকরণের আবেদন জানানো যাবে, ঘোষণা মার্কিন বিদেশ দফতরের। ভারতীয়-সহ যে সব কর্মীরা H-1B ভিসায় মার্কিন মুলুকে কাজ করছেন, তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা। এই লপ্তে ২০ হাজার আবেদনকারীর ভিসা পুনর্নবীকরণ হবে বলে খবর।

কী সুবিধা?
গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন-সফরের পর থেকে এই নিয়ে চর্চা চলছিল। সে বার, ওয়াশিংটনে প্রবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলতে শোনা যায়, H-1B ভিসার পুনর্নবীকরণের বিষয়টি মার্কিন মুলুকেই হবে। ওই সফরের পর, দু’দেশের তরফে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, তাতেও এই বিষয় উঠে আসে। বার্তা স্পষ্ট। পদ্ধতিগত দিকটি সহজ করে যাঁরা আমেরিকায় সাময়িক মেয়াদের ভিসায় কাজ করছেন, তাঁদের জীবন সহজ করে দেওয়া। আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আগামী পাঁচ সপ্তাহ ধরে এই ভিসা পুনর্নবীকরণের আবেদন প্রক্রিয়া চালানো হবে। আবেদন জানানোর আগে মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে একটি ওয়েবসাইট সামনে আনা হয়।  কোনও  ব্যক্তি , H-1B ভিসা পুনর্নবীকরণের আবেদন জানানোর যোগ্য কিনা, সেটি এখান থেকে যাচাই করে নিতে পারবেন। গত ডিসেম্বরে এই মর্মে যে মাপকাঠি স্থির করা হয়েছিল, আপাতত তার ভিত্তিতেই আবেদনের যোগ্যতা স্থির করা হবে বলে খবর। আরও জানা যাচ্ছে, এই তালিকায় ‘ডিপেনডেন্ট ভিসা’  বা ‘H-4’ ভিসায় থাকা স্বামী-স্ত্রী বা সন্তানরা থাকছেন না। এটি নিয়ে অবশ্য আগেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন মুলুকে  H-1B ভিসায় কর্মরতদের অনেকে।
তবে বিদেশ দফতর এটিও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পাঁচ সপ্তাহের জন্য H-1B ভিসা  পুনর্নবীকরণের আবেদনের এই পদ্ধতি পুরোপুরি পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করা হয়েছে। যদি পরীক্ষামূলক স্তরে বিষয়টি সফল হয়, তা হলে এর পরিসর আরও বাড়ানো হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর।

কানাডার ‘ভিসা’-নীতি…
সপ্তাহখানেক আগেই বিদেশি পড়ুয়াদের নিয়ে নতুন নিয়ম ঘোষণা করে কানাডা।বিদেশি পড়ুয়াদের আবেদন গ্রহণের ক্ষেত্রে রাশ টানার সিদ্ধান্ত নেয় সে দেশের সরকার তাদের অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিষয়ক মন্ত্রী, মার্ক মিলার বলে দেন, ‘এই নিয়ন্ত্রণ লাগু হওয়ায় ২০২৪ সালের জন্য ৩ লক্ষ ৬০ হাজার বিদেশি পড়ুয়ার আবেদন অনুমোদিত হওয়ার কথা, যা কিনা ২০২৩ সালের নিরিখে ৩৫ শতাংশ কম।’ আপাতত দু’বছরের জন্য এই নিয়ন্ত্রণ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর প্রশাসন। ২০২৫ সালেও এই নিয়ন্ত্রণ থাকবে কিনা, তা চলতি বছরের শেষে পর্যালোচনা করা হবে।

(Feed Source: abplive.com)