‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে বৈঠক, সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা

‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে বৈঠক, সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা

আশাবুল হোসেন, রুমা পাল, ঊজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation One Election) সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিতে আগামী সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বাম শিবির। তাদের দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগে এই এক নাটক।  অন্য দিকে, বকেয়া নিয়ে বাংলার হয়ে সওয়াল করায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আগামী সোমবার, অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। মঙ্গলবার ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তিনি। মমতার বক্তব্য, “আমাকে একদিনের জন্য দিল্লি যেতে হবে। রাজনীতির জন্য় নয়। ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ নিয়ে ওরা নাকি একটা এক্সপার্টস কমিটি করেছে, তারা আমাকে আমার ওপিনিয়ন জানাতে ডেকেছেন। তাই আমি ৫ তারিখে সন্ধেয় যাব, ৬ তারিখে বেলা ২টোয় মিটিং করব। তার পর সন্ধেয় ফিরে চলে আসব। কারণ ৮ তারিখে আমার বাজেট আছে।”

এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর কথায়, “আগেই তো সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। নাগপুর থেকে ক্লিয়ারেন্স এসে গিয়েছে। এবার দিল্লি যাবেন। প্রধানমন্ত্রী টাকা ছেড়ে দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে বলে বেড়াবেন, তিনি জোর করে টাকা আদায় করে আনলেন। প্রতিবার ভোটের আগে এই নাটক চলতেই থাকে। আসলে এখন টাকা না পেলে কর্মীদের নামাতে পারবে না। টাকা না পেলে কোনও কর্মী নামবে না। তাই এখন এসব নাটক চলছে। ঠিক সময় মতো টাকা পেয়ে যাবে।”

বকেয়ার দাবিতে তৃণমূলনেত্রীর ধর্না-অবস্থানের মধ্য়েই জল জীবন মিশন প্রকল্পে রাজ্য়কে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে, অর্ধেক পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
অমিত শাহ , উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র শীঘ্রই রাজ্যের বকেয়া মিটিয়ে দেবে। তার পরই রাজ্যকে টাকা দিয়েছে কেন্দ্র।

তবে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সওয়াল করায় রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, “গতকালও দিল্লিতে অমিতজি এবং ধনকড়জির সঙ্গে দেখা করার পরে রাজ্য় সরকারের হয়ে সওয়াল করেছেন। কখন প্রেম প্রীতি ভালবাসার উদয় হয়, কখন ঝগড়া হয়, তা আমি বলতে পারব না। এই রাজ্য়পাল অনেকদিন ধরে অনেক কথা বলেন। ওঁর কথায় কেউ গুরুত্ব দেয় না। ওঁরা তো দেনই না। ওয়্য়ার রুম খুলেছিলেন। ৭২ হাজার অভিযোগ পাঠিয়েছিলেন। একটা অভিযোগেরও কিছু হয়নি।”

এ নিয়ে সেলিমের বক্তব্য, “আমরা তো প্রথম দিন থেকেই বলেছি, এই ব্যক্তির কাজ হল দিল্লিকে তুষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করে পথ চলা। মাঝে একটু ফুসফাঁস করে ওঠে কিন্তু কোন মূল্য গুরুত্ব নেই। প্রথম কিস্তির টাকা তো ওরা পেয়ে যাবে। কিন্তু দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। আর সেই শর্ত পূরণের অন্যতম শর্তই হল ইন্ডিয়া জোটের ভাঙন। সেটাই উনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন।”

(Feed Source: abplive.com)