২০০৯ সালের প্রাথমিক প্যানেলের চাকরি মিলবে কাল, ঘোষণা কুণালের, অপেক্ষার ১৫ বছর

২০০৯ সালের প্রাথমিক প্যানেলের চাকরি মিলবে কাল, ঘোষণা কুণালের, অপেক্ষার ১৫ বছর

পশ্চিমবঙ্গ: চাকরির বাজারে এবার বড় খবর। ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জট কাটতে চলেছে। মঙ্গলবার ডিপিএসসির চেয়ারম্যান অজিত নায়েক ৩২৮জনের নাম প্রকাশ করবেন। এরপর নিয়োগপত্রও তুলে দেবেন। ঘোষণা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, কুণাল ঘোষ তো দলীয় মুখপাত্র। তিনি আচমকাই এই ঘোষণা করলেন কীভাবে? তিনি তো প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের মুখপাত্র নন?

ইতিমধ্য়েই এনিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। এদিকে এখনও চাকরির দাবিতে অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। সেই নিরিখে এবার স্বাভাবিকভাবে স্বস্তি পাবেন তাঁরা। তবে এবার অনশন তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন কুণাল। তবে আন্দোলনকারীরা সোমবার রাতেই অনশন তুলতে চাননি। কারণ তাঁরা সবটা দেখার পরেই সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ তাদের দাবির সঙ্গে কুণাল ঘোষের দেওয়া সংখ্য়া মিলছে না।

কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য় একটা সুখবর। ২০০৯ সালের প্যানেল, বাম জমানার প্যানেল যেটা নিয়ে বিতর্ক চলছিল। আন্দোলন, ধরনার মাঝে আলোচনাও চলছি। এরপর জট খোলে। ১৫০০জন কাজে যোগ দিতে পেরেছেন। তার বাকি অংশ নিয়ে ধরনা চলছিল। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগে, পর্ষদ সভাপতির প্রচেষ্টা, ডিপিএসসির চেয়ারম্য়ানের পরিশ্রমে ৩২৮জনের প্য়ানেল মঙ্গলবার অজিত কুমার নায়েক ডিপিএসসি চেয়ারম্য়ান দফতরে যাবেন। বেলা ১১টা সাংবাদিক বৈঠক করে এই ৩২৮জনের প্যানেল ঘোষণা করবেন। কাল থেকেই নিয়োগের চিঠি পোস্ট করা শুরু হবে। জট ধাপে ধাপে খুলছে। কাল থেকে নিয়োগ দেওয়া শুরু হবে। আন্দোলনকারীদের অনুরোধ আপনারা ধরনা তুলে নিন। কাল অজিত কুমার নায়েককে সহযোগিতা করুন। তারপর কোথাও কোনও কথা থাকলে তা আলোচনা করা যাবে।

কিছুটা হলেও স্বস্তির। রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তেই রয়েছে চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ। এখনও ধরনায় বসে রয়েছেন অনেকে। দিনের পর দিন। মাসের পর মাস। ভোট আসে ভোট যায়। পুজো আসে পুজো যায়। কিন্তু তবুও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পান না চাকরিপ্রার্থীরা। তবে এবার কিছুটা হলেও আশার আলো। ১৫ বছরের আগের প্যানেলে চাকরি পাবেন বেকার যুবক যুবতীরা। বছরের পর বছর ধরে তারা হয়তো এই দিনটার আশা করছিলেন। কিন্তু এই যে মাঝে এতগুলো দিন পেরিয়ে গেল তার কী হবে?

(Feed Source: hindustantimes.com)