কমেডি অভিনেতা হিসেবে বরাবরই অগুণতি দর্শক মনে হাসি ফুটিয়েছেন অভিনেতা জনি লিভার। নব্বইয়ের দশকে বলিউডে তাঁর ছিল একছত্র আধিপত্য। ‘স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান’ হিসেবে বিখ্যাত যে কেরিয়ার, সেটাও কিন্তু জনি লিভারের হাত ধরেই। সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দ, শাহরুখ খানের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন। উপার্জনে পাল্লা দিতেন তখনকার নামী নায়কদের।
তবে ২০০০ সাল থেকেই হঠাৎ করে হিন্দি ফিল্মজগৎ থেকে সরে যেতে থাকেন জনি। নতুন কোনও ছবিতে আর দেখা মিলছিল না তাঁর। সম্প্রতি, রণবীর আল্লাহবাদিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, জনি সম্প্রতি তাঁর পেশাগত যাত্রা সম্পর্কে কথা বলেছেন। তার জীবনের এমন দিকগুলির উপর আলোকপাত করেছেন যা প্রকাশ্যে খুব কমই আলোচিত হয়েছে।
১৩ বছর বয়সে, তিনি তাঁর বাবার প্রতি চরম হতাশার কারণে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন। জনির কথায়, ‘আমি ১৩ বছর বয়সে রেললাইনে মরতে গিয়েছিলাম।’ বাবার উপর থাকা ক্ষোভেই ছিল জনির এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু ট্রেনকে তাঁর দিকে এগিয়ে আসতে দেখে, জনির চোখে ভেসে ওঠে ৩ বোনের মুখ। ফলে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেছিলেন।
জনি নিজের শৈশব নিয়ে এদিন আরও জানান, যে শহরে তিনি বাস করতেন সেখানে থাকত সত্যিকারের খুনীরা। জনি ইশ্বরকে প্রতি মুহূর্তে ধন্যবাদ জানান, যে তিনি অভিনেতা হয়েছেন। তাঁর ভয়, বিনোদন জগতে না এলে তিনি হয়তো অপরাধ জগতে থাকতেন। কোনও গ্যাংস্টার হতেন।
১৯৫৭ সালের ১৪ অগস্ট তেলুগু খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম জনির। মুম্বইয়েই বড় হয়ে ওঠা। জনির বাবা কাজ করতেন একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে। পেতেন নামমাত্র পারিশ্রমিক। তা দিয়ে কোনওরকমে চলত সংসার। ছেলেমেয়ের স্কুলের খরচ মেটাতে পারতেন না তিনি। এদিকে ছিল মদ্যপানের নেশা। সপ্তম শ্রেণি অবধি লেখাপড়া করেই ছেড়ে দেন পড়াশোনা।
১৪ বছর বয়সেই সংসারের হাল ধরতে শুরু করেন রোজগার। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে সেইসময় করতেন প্যান্ট বিক্রি। আর সেই কাজে করতেন বলিতারকাদের গলা নকল। এরপর বাবার কারখানাতেও কাজ শুরু করেন। সেই কারখানার কোনও অনুষ্ঠান হলেই জনির ডাক পড়ত বলি তারকাদের মিমিক্রি করার। আর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা সূত্রেই বলিপাড়ার সুরকার কল্যাণজি-আনন্দজির সঙ্গে আলাপ হয় জনির। তারপর ধীরে ধীরে প্রবেশ বলিউডে।
(Feed Source: hindustantimes.com)