২০২১ সালের মার্চ মাসে আচমকাই ডিভোর্সের ঘোষণা সারেন আমির খান ও কিরণ রাও। বলিউডের অন্যতম আদর্শ দম্পতি হিসাবেই ধরা হত তাঁদের। কেন হঠাৎ বিচ্ছেদ? বুঝে উঠতে পারেননি কেউই। তবে বিচ্ছেদের তিন বছর পরেও হামেশাই আমিরের পাশেই দেখা গিয়েছে কিরণকে। কিংবা উলটোটা। কিরণ প্রায় দেড় দশক পর ফিরছেন পরিচালনায়। ছবির নাম লাপাতা লেডিজ, প্রযোজক আমির খান। খাতায়-কলমে স্বামী-স্ত্রী না হলেও বন্ধুত্ব অটুট, পাশাপাশি ছেলে আজাদের জন্য আজও এক ছাদের নীচে থাকলেও কুন্ঠাবোধ করেন না তাঁরা।

সম্প্রতি ‘লাপাতা লেডিজ’-এর প্রচারের ফাঁকেই বিচ্ছেদ নিয়ে অকপটে সবটা জানান প্রাক্তন জুটি।  এবিপি নেটওয়ার্কের ‘আইডিয়াস অফ ইন্ডিয়া’ সামিটে ডিভোর্স নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন আমির। ৫৮ বছর বয়সী আমিরের দু-বার বিয়ে ভেঙেছে। দু-বারই ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তিনি। ডিভোর্সের পর কিরণের কাছে স্বামী হিসাবে তার কী অভাব রয়েছে এবং ভবিষ্যতে কীভাবে তিনি আরও ভালো স্বামী কী করে হতে পারেন সেই প্রশ্ন করে বসেন আমির। সেই কিসসা এদিন জানান অভিনেতা। আমির বলেন, ‘মজার ব্যাপার হল, এখন আমরা ডিভোর্সি। একদিন বিকালে আমরা বসেছিলাম, আমি হঠাৎ করেই কিরণের কাছে জানতে চাই, কী মনে হয় স্বামী হিসাবে আমার মধ্য়ে কি খামতি রয়েছে? আমি জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কোন বিষয়ে উন্নতি করতে পারি?’

হতাশ করেননি কিরণ। তিনি তালিকা নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন। আমিরের প্রাক্তন বলেন, ‘হ্যাঁ লিখে নাও (হাসি)। রীতিমতো আমাকে ধরে ধরে খামতি লিখিয়েছিল কিরণ। জানায়, তুমি বড্ড বেশি কথা বল, তুমি অন্যকে কথাই বলতে দাও না। নিজের পয়েন্টেই আটকে থাকো। প্রায় ১৫-১৬টা পয়েন্ট আমাকে লিখিয়েছিল।’ কিরণ চিৎকার করে বলেন, ‘তুমি জিগ্গেস করেছিলে তাই তো বলেছিলাম’।

এই অনুষ্ঠানে কিরণ জানান,  ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাঁদের মধ্য়ে মতের অমিল হয়েছে ঠিকই কিন্তু কখনও বড় ঝামেলা হয়নি। আমির সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়েই বড় ঝগড়া হয়নি, অথচ আইনত আজ তাঁরা স্বামী-স্ত্রী নন।

আমির খান ও কিরণ রাও-এর প্রথম আলাপ লাগানের সেটে। ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়েছিলেন তাঁরা। বিয়ের ছয় বছর পর সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম হয় এই জুটির একমাত্র সন্তান আজাদ রাও খানের।

আগামী সপ্তাহে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে লাপাতা লেডিস। আমিরকে শেষ দেখা গিয়েছিল লাল সিং চাড্ডা ছবিতে। এই ছবির ব্যর্থতা এখনও ঝেড়ে ফেলতে পারেননি আমির। তাই নতুন ছবির ঘোষণা সারেননি। তবে প্রযোজক হিসাবে বেজায় ব্যস্ত তিনি।