১। নতুন ইসকুলে পড়াতে গিয়ে মাস্টারমশাই খেয়াল করলেন যে ছাত্রেরা সকলেই Nature-কে ‘নাটুরে’ বলে উচ্চারণ করছে। নালিশ জানালেন ইংরিজির টিচারের কাছে গিয়ে।
টিচার অত্যন্ত দুঃখিত হলেন এবং জানালেন তার ধারণা ছাত্রেরা একটু ‘মাটুরে’ (Mature) হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
রেগে গিয়ে মাস্টারমশাই ছুটলেন প্রধান-শিক্ষকের কাছে। নালিশ জানিয়ে বললেন, ‘কী ইসকুল মশাই… ছেলেরা ‘নাটুরে’ বলে, টিচার ‘মাটুরে’ বলে … ।’
প্রধান-শিক্ষক হতাশ কণ্ঠে বললেন, ‘আমিও বুঝি, কিন্তু কী করবেন বলুন! এই অঞ্চলের ‘কালটুরে’ (Culture)-টাই এইরকম।’
ক্ষিপ্ত মাস্টারমশাই দৌড়লেন স্কুল-পরিদর্শকের কাছে…।
তিনি সব শুনে প্রবল চিৎকার-চেঁচামেচি করতে করতে বললেন,
‘আমি জানতাম … আমি আগেই জানতাম, এই ইসকুলটার কোনও ‘ফুটুরে’ (Future) নেই …।’
২। হোস্টেলের ছেলেদের মাঝেমধ্যেই গণহারে নানা ঝোঁক চাপে। এই যেমন একটা টার্মে সব বিষয়ের শিক্ষকদের সংক্ষেপে ডাকা শুরু হল। বাংলার শিক্ষককে বাশি, ইংরেজির শিক্ষককে ইশি, আর ভূগোলের শিক্ষককে ভূশি।
সেটা মোটামুটি সব স্যার জেনে গিয়েছিলেন। একদিন বিমলবাবু ক্লাসে এসেই বললেন, ‘শোনো, কষ্ট হলেও তোমরা আমার নাম সংক্ষেপে ডেকো না, প্লিজ!’
বিমলবাবু ছিলেন হিস্ট্রির শিক্ষক…!
৩। একবার এক চোর রাতের বেলা নারকেলগাছে উঠেছে। উদ্দেশ্যে কী, সেটা তো আর বলে দিতে হবে না। তো নারকেল নিচে ফেলতেই জোরে শব্দ হলো। সেই শব্দে গৃহস্থ মানে গাছের মালিক গেল জেগে। চিৎকার করে জানতে চাইল, ‘কে রে?’
গাছের ওপর থেকে চোরটা উত্তর দিল, আমি ফন্টে।
: ওইখানে কী করিস?
: ঘাস কাটি।
: ওই ছাগল, নারকেলগাছে কি ঘাস আছে নাকি?
: নেই দেখেই তো নেমে আসছি।
৪। ভোর। নতুন বউ ঘুম থেকে জেগে দেখেন স্বামী গেছেন রান্নাঘরে। বউ খুব খুশি। কী ভালোবাসেন স্বামী ওকে! সক্কালবেলা চলে গিয়েছেন রান্না করতে।
স্ত্রীকে দেখে স্বামী বললেন, লক্ষ্মীটি, তুমি আপেলের জুস ঢালো গ্লাসে আর ফ্রিজ থেকে বার করে রুটিগুলো সেঁকে নাও! জলখাবার তৈরি হয়ে গেল বলে!
স্ত্রীর মন ভরে উঠল। কী তৈরি করছেন স্বামী? নিজেকে সামলাতে না পেরে বললেন, আজ কী জলখাবার তৈরি করছো?
স্বামী বললেন, আজকের জলখাবার আপেলের জুস আর সেঁকা রুটি।
৫। শিক্ষক: বল তো ‘নাথিং’ মানে কী?
ছাত্র: জানি না, স্যার (ভয়ে ভয়ে)।
শিক্ষক: কী বললি?
ছাত্র: কিছু না।
শিক্ষকঃ গুড, বস।
(Feed Source: hindustantimes.com)