যুদ্ধে অযাচিত দখলদারি আমেরিকার? পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুঁশিয়ারি পুতিনের

যুদ্ধে অযাচিত দখলদারি আমেরিকার? পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুঁশিয়ারি পুতিনের

মস্কো: নয় নয় করে দু’বছর হতে চলেছে যুদ্ধের। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এখনও আগ্রাসী নীতি নিয়ে চলছে রাশিয়া। সেই আবহে এবার আমেরিকাকে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, আমেরিকা যদি ইউক্রেনে সেনা পাঠানো বন্ধ না করে, সেক্ষেত্রে যুদ্ধের গতি আরও ত্বরান্বিত হবে। পরমাণু যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া। পুতিনের এই ঘোষণায় আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি আরও তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। (Vladimir Putin)

চলতি মার্চ মাসে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ১৫ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া, তাতে জয়ী হয়ে আরও ছ’বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকা নিয়ে আশাবাদী পুতিন।  সেই আবেহই আমেরিকাকে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। পুতিন জানিয়েছেন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের প্রয়োজন পড়েনি এখনও পর্যন্ত। তেমন কোনও পরিস্থিতিও দেখা দেয়নি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে পিছপা হবে না রাশিয়া। (Nuclear War Threat)

রাশিয়ার একটি খবরের চ্যানেলে সাক্ষাৎকার পর্ব চলছিল। সেকানে একটি প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন পুতিন। রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত কি না প্রশ্ন করা উড়ে এলে, তিনি বলেন, “সামরিক এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে, অবশ্যই (পরমাণু যুদ্ধের জন্য) প্রস্তুত আমরা।” পুতিন জানিয়েছেন, আমেরিকা যদি ইউক্রেনে আরও সেনা পাঠায়, সেক্ষেত্রে যুদ্ধে তারা হস্তক্ষেপ করছে বলেই ধরা হবে। তবে আমেরিকায় নিশ্চয়ই শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ রয়েছেন, তাঁরা কৌশলগত দিকটি বিবেচনা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন পুতিন। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয় না পরমাণু যুদ্ধের জন্য কোনও পক্ষণ উদগ্রীব। তবে পরিস্থিতি সেদিকে গড়ালে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।”

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমি বিশ্বের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। ইউক্রেন নিয়ে আমেরিকা এবং পশ্চিমের দেশগুলির হস্তক্ষেপ যে একেবারেই পছন্দ করছেন না, আগেও জানিয়েছেন পুতিন। লাগাতার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে চলেছেন তিনি। রুশ সেনা ইউক্রেনের যে অঞ্চলগুলি দখল করেছে, সেগুলিকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। সেই নিয়েই এবার পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন।

রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের দিকে এগোবে কি না, এই মুহূর্তে পুতিনের হাতেই সিদ্ধান্ত ন্যস্ত রয়েছে। পুতিনের বক্তব্য, “আমাদের নিজেদের কিছু নীতি রয়েছে। ব্যবহারের জন্য হাতিয়ার মজুত রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতায় প্রস্তুত রাশিয়া, কিন্তু তা বাস্তবনির্ভর হতে হবে।” এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উঠলেও, আমেরিকার আপত্তিতে তা খারিজ হয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। যুদ্ধে আমেরিকার হস্তক্ষেপ নিয়ে তাই আবারও সরব হলেন পুতিন।

(Feed Source: abplive.com)