রেস্তোরাঁর ওয়েটার থেকে সৃজিতের ছবির নায়ক, বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন অনিন্দ্য

রেস্তোরাঁর ওয়েটার থেকে সৃজিতের ছবির নায়ক, বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন অনিন্দ্য

রূপোলি পর্দায় ফিরলেন বাঙালির চিরন্তন ম্যাটানি আইডল! গুরুর কামব্যাক নিয়ে বাঙালির হৃদয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় অসাধ্য সাধনে কতখানি সফল তা বিতর্কিত, তবে তাঁর প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলে। পুরোনো ছবির ক্লিপিংস কেটে আস্ত একটা ছবির চরিত্র তৈরি মোটেই সহজ নয়!

এই ছবিতে উত্তম কুমারের পাশাপাশি মুখ্য ভূমিকায় দেখা মিলেছে অনিন্দ্য সেনগুপ্তর। সৃজিতের এক্স=প্রেম ছবির হাত ধরেই টলিউড ছিনিয়ে অনিন্দ্যকে। এবার সৃজিতের ড্রিম প্রোজেক্টের অংশ তিনি। ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল অতি উত্তমের কাছ। প্রায় চার বছর পর মুক্তি পেল ছবি। সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘২০২০ সালে মক শ্যুট করেছিলাম। ২০২১-এর মার্চে শ্যুট শুরু হয়। এই ছবিটা আমার বিগ স্ক্রিন ডেবিউ হওয়ার কথা ছিল, তবে এক্স=প্রেম আগে মুক্তি পায়, সেটায় ভালোই হয়েছে।’

লম্বা অপেক্ষার আফসোস নেই অনিন্দ্যর। যার শেষ ভালো, তার সব ভালো- এই ভাবনাতেই বিশ্বাসী। গুরু (উত্তম কুমার)-র সঙ্গে কাজের লোভ নাকি পরিচালক সৃজিত? কে বেশি টেনেছিল? ‘অতিমারীর প্রথম পর্বের লকডাউনে এই কাজের অফারটা এসেছিল। তখন কাজকর্ম এমনি বন্ধ। প্রায় কাফকা করেছি। আমার ব্যাকগ্রাউন্ড টেলিভিশন। না আমার নাটকের অভিজ্ঞতা আছে না ফিল্মস্কুলে পড়েছে। বারো ক্লাস পাস ছেলে। অতিমারীর সময় একটা অ্যাংসাইটি কাজ করছিল, সেখানে সৃজিত মুখোপাধ্যায় ছবিতে মুখ্য-চরিত্র অফার করছে। হ্যাঁ-না বলার সুযোগ থাকে?’ প্রশ্ন অনিন্দ্যর।

ষাট হতে না হতেই জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছেন উত্তম কুমার। সৃজিতের ভাবনায় ৪২ বছর পর রুপোলি পর্দায় মহানায়ক। কলকাতা এখন উত্তমময়। সৃজিতের চার বছরের গবেষণা। উত্তম কুমারের ৬২টা ছবি বারবার দেখা, সেখান থেকে সংলাপ, চিত্রনাট্য সাজানো এমনভাবে যাতে মনে হয় আজকের প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলছেন মহানায়ক। ছবিতে অনিন্দ্যর পাশাপাশি রয়েছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়, যিনি উত্তমের নাতি এবং রোশনি ভট্টাচার্য।

এই ছবি ঘিরে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। ট্রোলারদের নিয়ে ভাবতে না-রাজ অনিন্দ্য বললেন, ‘ট্রোলিং ইজ পার্ট অফ দ্য গেম। সেটা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের থেকে ভালো কেউ জানে না। আর নেতিবাচক পাবলিসিটিও তো দিনের শেষে পাবলিসিটি।’

আজকের প্রজন্মের অভিনেতাদের সঙ্গে সুস্থ প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী অনিন্দ্য, তাঁদের মধ্যে ‘আজকে একে খেয়ে নেব’ ব্যাপারটা নেই বললেন অভিনেতা। একটা সময় টেলিভিশনে অ্যাঙ্কারিং করতেন অনিন্দ্য। কিন্তু তাঁর স্ট্রাগল বেশ লম্বা। ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ভাঙার পর টাকা রোজগারের জন্য অনেক কিছুই করেছেন। জানিয়েছেন, ‘আমি রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করেছি, কলসেন্টারে কাজ করেছি। এলাকায় জমির দালালি করেছি।’ এরপর টেলিভিশনে কাজ,সঞ্চালনা। ধাপে ধাপে উত্তরণ হয়েছে অনিন্দ্যর।

টেলিভিশনে কাজের সময় পাশে আট হাজার টাকা মাইনে পেতেন। তখন আর কিছু সুযোগ ছিল না, তবে এখন অভিনয়ই অনিন্দ্যর ধ্যান-জ্ঞান। পেশা বদলানোর আর কোনও ইচ্ছে নেই। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অকপট অনিন্দ্য বললেন, ‘স্ত্রীর থেকে এখন আমি আলাদা। মাস খানেক হল। তবে যতদিন একসঙ্গে ছিলাম, ও আমার পাশে ছিল’।

(Feed Source: hindustantimes.com)