জিতলে হুগলি জেলার দিদিদেরকে আগে দিদি নাম্বার ওয়ানে সুযোগ ! প্রচারে নেমে অভিনব দাবি রচনার

জিতলে হুগলি জেলার দিদিদেরকে আগে দিদি নাম্বার ওয়ানে সুযোগ ! প্রচারে নেমে অভিনব দাবি রচনার
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : ফের মন্তব্য-বিতর্কে জড়ালেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Rachana Banerjee ) । দোলের আগের দিনই সিঙ্গুর বিধানসভার বেগমপুরে বসন্ত উৎসবে সামিল হন রচনা। সেখানেই তৃণমূল প্রার্থী প্রতিশ্রুতি দেন, ভোটে জেতার পর হুগলি জেলার মহিলাদের নিজের বিনোদন-অনুষ্ঠানে ডাক পাওয়ানোর তদ্বির করাই হবে তাঁর সবথেকে বড় কাজ। তিনি বলেন, ‘যদি বিজয়ী হই, তাহলে সবথেকে বড় কাজ যেটা আগে করব…সবার আগে বলব ভাই, আমাকে যদি দিদি নাম্বার ওয়ান করতে চাও, আমার হুগলি জেলার মানুষ আমাকে জিতিয়ে নিয়ে এসেছে, হুগলি জেলার দিদিদেরকে আগে দিদি নাম্বার ওয়ানে ডাকো। তারপরে সব দিদিরা আসবে।’

সোমবার চন্দননগর বিধানসভার ভদ্রেশ্বরে বসন্ত উৎসবে সামিল হয়ে প্রতিপক্ষকে পাল্টা বিঁধলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ( Locket Chatterjee ) রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে রচনাকে অভিজ্ঞতাহীন বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। লকেট বলেন, ‘মানুষ দুর্নীতি চায় না, মানুষ তোলাবাজি-সিন্ডিকেট চায় না, মানুষ লুটেরা রাজ্যের সরকার চায় না। আমার লজ্জা লাগে যে, এখানে এরকম ক্যান্ডিডেট কী জন্য করল…রাজনৈতিকভাবে যার কোনও অভিজ্ঞতা নেই।’

এর আগে সিঙ্গুরে গিয়েও রচনা প্রচারের কাজে সামনে রাখেন ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তাকেই। শনিবার সিঙ্গুরে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের পাশে থাকব, যদি আপনারা আমাকে ভালবাসেন। এতদিন টিভিতে দেখতেন, এখন সামনেও দেখতে পারবেন। বিকালে টিভিতে দেখবেন, সকালে সামনে দেখবেন।’

রুপোলি পর্দার জগতে রচনার একদা সতীর্থ লকেট। তিনি ব্যক্তিগত স্তরে সম্মান বজায় রেখেই রাজনৈতিক ভাবে বিঁধতে ছাড়েননি রচনাকে। ‘যারা বলবে সকালে দেখবেন, বিকেলে TV-তে দেখবেন এইসব বলবে, তারা কেউ থাকবে না। তারা ওই মাঝে মাঝে টুকি-টুকি করে দেখা দেবে আর বলবে এই তো আমায় দেখতে পাচ্ছেন। টুকি-টুকি করবে। এই সবের মধ্যে পা দেবেন না’

পঞ্চম দফায় ২০ মে, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। আর ৪ জুন জানা যাবে জনতা জনার্দনের রায়। তখনই জানা যাবে, হুগলির মানুষ কি ভরসা রাখল তাদের পুরনো সাংসদের উপর, নাকি এগিয়ে রাখবেন ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’কে।

(Feed Source: abplive.com)