আবির দত্ত, কলকাতা : ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে (Roddur Roy) আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় এদিন। আদালতের তাঁকে নিয়ে শুনানির সময় তীব্র বাদানুবাদে জড়ালেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা। রোদ্দুর রায়ের আইনজীবী তুললেন ক্ষমতার অপব্যবহারের দাবি। অপরদিকে, সরকারি আইনজীবীর যুক্তি বাকস্বাধীনতার নামে এমন কিছু বলা যায় না যাতে অন্য কেউ আঘাত পান।
রোদ্দুর রায়কে আদালতে পেশ
‘ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে’। ‘যাঁর নামে বলেছেন, তিনি অভিযোগ করেননি’। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে রোদ্দুর রায়ে জামিন চেয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রোদ্দুর রায়ের আইনজীবীর। যার তীব্র বিরোধ করে ইউটিউবার রোদ্দুর রায় (Youtuver Roddur Roy) পুলিশি হেফাজত চান সরকারি আইনজীবী। তাঁর দাবি, বাকস্বাধীনতার নামে এমন কিছু বলা যায় না যাতে অন্য কেউ আঘাত পান। রোদ্দুর রায় ঠিক কী বলেছেন তার সব নথি পেন ড্রাইভে রয়েছে বলে জানিয়ে সেটি আদালতের কাছে পেশও করতে চান তিনি। দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে গোটা পর্বে তীব্র বাদানুবাদ, হট্টগোল হয়। গোটা পর্বের মাঝে অবশ্য রোদ্দুর রায় কোনও কথা বলেননি।
ঠিক কী অভিযোগ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) সম্পর্কে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে রোদ্দুর রায়কে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে মঙ্গলবার গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় রোদ্দুর রায়কে। বুধবার রাতে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসে কলকাতা পুলিশ। বিমানবন্দরে নেমে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কিপ ডিসট্যান্স। ডোন্ট টাচ মি।’ সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি।
মহিলাদের অসম্মান, অশান্তিতে উস্কানি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আজ তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। একাধিক থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে গোয়া থেকে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করে লালবাজারের (Lalbazar) সাইবার সেল ও গুন্ডাদমন শাখা।
(Source: abplive.com)