একুশের ভোটে কমিশনের গাড়িতে জ্বালানি ব্যবহার, চব্বিশেও মেটেনি টাকা, পাম্প বন্ধের আশঙ্কা

একুশের ভোটে কমিশনের গাড়িতে জ্বালানি ব্যবহার, চব্বিশেও মেটেনি টাকা, পাম্প বন্ধের আশঙ্কা

অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও রুমা পাল, কলকাতা: বিধানসভা ভোটের সময় পেট্রোল (Petrol) নিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের (EC) একের পর এক গাড়ি। ভোট মিটে গেলেও জ্বালানির টাকা আজও মেটেনি (Fuel Bill)। বকেয়ার বোঝায় ডুবে বহু পেট্রোল পাম্প বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে তাই বকেয়া ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

ভোট এলেই নির্বাচন কমিশনে গাড়ির চাহিদা বাড়ে। ভোটের কাজে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে হয় কমিশনের আধিকারিকদের। গাড়ির চাহিদার সঙ্গে বাড়ে জ্বালানির চাহিদাও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থানীয় পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি ভরানো হয় গাড়িগুলিতে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী,জ্বালানি ভরানোর পরে পেট্রোল পাম্পে কিছু টাকা অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়।

নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পেট্রোল পাম্পের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশের দাবি। ২০২১ সালের নির্বাচনে পর রাজ্যের পেট্রোল পাম্পগুলির ২৫ শতাংশ টাকা এখনও বকেয়া।অনেক পেট্রোল পাম্পে বকেয়া টাকার পরিমাণ লক্ষাধিক। টাকা না মেলায় জ্বালানি কিনতে পারছে না বহু পেট্রোল পাম্প। এই ভাবে টাকা বকেয়া থাকলে অনেক পেট্রোল পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন।ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যকরী সভাপতি  প্রসেনজিৎ সেন বলেন,আমাদের টাকা আটকে রয়েছে। শহরতলি ও জেলার পেট্রোল পাম্পগুলি বেশি সমস্যায় পড়েছে। বকেয়া না মেটালে পেট্রোল পাম্পগুলি বন্ধ হওয়ার দিকে এগোবে।

কমিশন সূত্রে দাবি, টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও জেলায় যদি টাকা আটকে থাকার ঘটনা ঘটে থাকে,তাহলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট  জেলাশাসকের দেখার কথা।বিধানসভা ভোটের পাশপাশি পঞ্চায়েত ভোটের টাকাও বকেয়া রয়েছে বলে দাবি ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের।

(Feed Source: abplive.com)