‘গরুর রচনা’র পর সাফাই রচনার, ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, ‘আমি যা বলি মন দিয়েই…’

‘গরুর রচনা’র পর সাফাই রচনার, ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, ‘আমি যা বলি মন দিয়েই…’

কিছুদিন আগে সিঙ্গুরের গরুদের নিয়ে বলা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য দারুণ ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ওখানকার গরুরা নাকি দারুণ ভালো দুধ দেয়, তাই ভালো দই পাওয়া যায়। এবার এই বক্তব্যের কারণ ব্যাখ্যা করলেন হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।

আগে কী বলেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়?

কিছুদিন আগে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরের গরুদের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘সিঙ্গুর গাছপালায় ভর্তি। সেখানকার জমিগুলো পুরো সবুজ। সেই সবুজ ঘাস খেয়ে ওখানকার গরুগুলো হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে। আর ভালো দুধ দিচ্ছে। আর সেই দুধ থেকে ভালো দই তৈরি হচ্ছে।’ তাঁর এক বক্তব্য নিমেষেই ভাইরাল হয়েছিল। অনেকেই রচনার এই কথাকে গরুর রচনা বলেও আখ্যা দেন। এবার নিজের এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন রচনা।

ব্যাখ্যা দিয়ে কী বললেন রচনা?

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে হুগলিতে জমিয়ে প্রচার সারছেন। গরম, রোদ সহ সব উপেক্ষা করেই নিয়মিত প্রচারে বেরোচ্ছেন তিনি। করছেন জনসংযোগ। এদিন প্রচারে বেরিয়েই এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে রচনা বলেন যে তিনি সেদিন বোঝাতে চেয়েছিলেন যে সিঙ্গুরে প্রবল সবুজায়ন হয়েছে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি সুবজায়নের কথা বোঝাতে চেয়েছিলাম সেটা নিয়েই সবাই এত মিম করল। ভাইরাল হল।’ এই গরমের হাত থেকে বাঁচতে যে সবুজায়ন যে একমাত্র পথ সেটাই তিনি বুঝিয়ে দিলেন।

এদিন একই সঙ্গে রচনা বলেন, ‘সিঙ্গুরের মাটিতে এত সবুজায়ন হয়েছে যে সেই জমিতেই গরু ঘাস খাচ্ছে। আর সেই জমির ফসল আমরা খাচ্ছি। এখানকার সকলেই সিঙ্গুরের জমির ফসল খান। এটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম আমি।’ যতই ট্রোল হোক, যাই হোক অভিনেত্রীর সাফ কথা, যে যাই ভুল বুঝুক না কেন, তিনি যেটা বিশ্বাস করেন সেটাই বলেছেন।

রচনার ইফতার পার্টি

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে হুগলিতে জমিয়ে প্রচার সারছেন। এই গরমে ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। ৫ এপ্রিল, শুক্রবারও ঠিক একই ভাবে তিনি হুগলির সপ্তগ্রামের বাঁশবেড়িয়ায় প্রচার সারেন। দিদি নম্বর ওয়ানকে দেখতে এদিন রাস্তার ধারে গরম উপেক্ষা করেও বহু মানুষ ভিড় জমান। তাঁদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। তাঁকে এদিন পথে হেঁটে নয়, বরং হুডখোলা জিপে করে প্রচার করতে দেখা যায়। পরনে ছিল সবুজ চুড়িদার। ওড়নাটিকে তিনি মুসলিম মহিলাদের মতো মাথায় জড়িয়ে প্রচার করেন।

এদিন প্রচারের পর দুপুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন। তারপর একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে আবারও প্রচার সেরে পৌঁছে যান ঝুলোনিয়ার বড় মসজিদের সামনে চলা ইফতার পার্টিতে। সেখানে গিয়ে ইসলাম ধর্মপ্রাণ মানুষদের সঙ্গে বসে ফল খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা, বিধায়করা। বাঁশবেড়িয়ার উপ পৌরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক অসীমা পাত্রকে তাঁর সঙ্গে দেখা যায়।

(Feed Source: hindustantimes.com)