তেড়ে এসেছিল হনুমানের দল, ‘আলেক্সা’কে ডাকতেই দৌড়ে পালাল সবকটা! ব্যাপার কী

তেড়ে এসেছিল হনুমানের দল, ‘আলেক্সা’কে ডাকতেই দৌড়ে পালাল সবকটা! ব্যাপার কী

বারান্দায় ছিল বিস্কুটের কৌটো, নিয়ে পালিয়েছে হনুমান। বাইরের টেবিলে ছিল থাইরয়েডের ওষুধের শিশি, আচার মেরে ভেঙে দিয়েছে হনুমান। কানে হেডফোন লাগিয়ে গাছের তলায় বসেছিলেন ব্যক্তি, হেডফোনটাই তুলে নিয়ে গিয়েছে হনুমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমনই নানান মজার আবার অস্বস্তিতে ঘটনার শিকার হই। আসলে বাড়ি থেকে রাস্তাঘাটে হনুমানের উপদ্রব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অনেক ভিডিয়োও আজকাল প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে চলেছে। কিন্তু এবার প্রযুক্তির মাধ্যমে এই জেদি হনুমানকেই জব্দ করার এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা জেনে রীতিমত অবাক হয়েছেন প্রত্যেকেই।

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বাস্তি জেলার আবাস বিকাশ কলোনির। যেখানে ১৩ বছরের কিশোরী এমন এক কাজ করেছে যে তার বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করা হচ্ছে। নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সে শুধু নিজেকেই নয়, ১৫ মাসের নিষ্পাপ এক শিশুকেও হনুমানের আক্রমণ থেকে বাঁচিয়েছে। আসলে যা ঘটেছিল তা হল ১৩ বছর বয়সী নিকিতা তার ১৫ মাস বয়সী ভাগ্নি ভামিকার সঙ্গে বাড়িতে খেলছিল। তারা দুজনেই দোতলায় রান্নাঘরের কাছে সোফায় বসেছিল। বাকিরা বাড়ির লোকজনের মধ্যে অন্য কক্ষে ছিল। তখনই একদল বানর ঘরে ঢুকে পড়েছিল। বানরগুলো তাদের দিকে এগোতে শুরু করলেই দুজনে ভয় পেয়ে যায়। ১৫ মাস বয়সী ভামিকা কিছু বুঝতে না পেরে ভয় পেয়ে ‘মা-মা’ বলে চিৎকার করতে শুরু করে, অন্যদিকে নিকিতাও ভয় পেয়ে গিয়েছিল।যাইহোক, এই সময়ে, নিকিতা খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজটি করেছিলেন এবং সেখানে রাখা ‘আলেক্সা’ ডিভাইসে এমন কিছু বলেছিলেন, যাতে বানরগুলো ভয়ে দৌড় দিয়েছিল।

  • অ্যালেক্সা ঠিক কী বলেছিল ছোট্ট মেয়েটি

বানরদের তাড়ানোর জন্য, মেয়েটি আলেক্সাকে কুকুরের শব্দ করতে আদেশ করেছিল। এমতাবস্থায়, ডিভাইসটি সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটির কথা মেনে নিয়ে জোরে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ শব্দ করতে শুরু করে। অতঃপর বানরগুলো কুকুরের আওয়াজ শোনামাত্র এদিক ওদিক ঘুরে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির বুদ্ধিমত্তার বেশ প্রশংসাও হচ্ছে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরিবারের সদস্য পঙ্কজ ওঝা বলেছেন যে আলেক্সাকে এত ভালোভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, এই বিষয়ে অন্য কোনও সময় ভাবিনি।

  • অ্যালেক্সা কিন্তু ছোটদের জন্য ক্ষতিকারকও

অ্যালেক্সা হল অ্যামাজনের ক্লাউড-ভিত্তিক ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট যা অনেক দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় যেমন টাইমার সেট করা, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা, সঙ্গীত বাজানো এবং আরও অনেক কিছু। যাইহোক, এই ডিভাইসটি শিশুদের জন্য ব্যবহার করা নিরাপদ কিনা তা কিন্ত বেশ বিতর্কের বিষয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, একটি ১০-বছর-বয়সী মেয়ের জীবন অ্যালেক্সার কারণে হুমকির মুখে পড়েছিল। ডিভাইসটি তাকে দেওয়ালে লাগানো ফোন চার্জারের উন্মুক্ত অংশগুলোতে একটি কয়েন স্পর্শ করার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিল। এরপর বিষয়টি সামলে ওই মেয়েটির মা ঘটনাটি শেয়ার করলে, অ্যামাজন বলেছিল, আমরা এই ত্রুটি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার সাথে সাথে এটি ঠিক করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি।

(Feed Source: hindustantimes.com)