কলকাতার ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে লা লিগার সম্পর্কটা অনেকদিনের। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ২০১৪ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছিল অ্যাতলেতিকো দে কলকাতা। এরপর সেই চুক্তি ভেঙে যায়। বদলে যায় কলকাতার দলের নামও। গত বছর কলকাতার তিন প্রধানের স্বার্থে এবং বাংলার ফুটবলের উন্নতির জন্য স্পেনে গিয়ে লা লিগা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় লা লিগার অ্যাকাডেমি করার জন্য তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবে লা লিগা কর্তৃপক্ষ সাড়াও দিয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের বর্ণময় মুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। এবার লা লিগার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধল কলকাতার ভবানীপুর ফুটবল ক্লাব।
দীর্ঘদিন কলকাতা লিগে খেলে সৃঞ্জয় বোসের ক্লাব ভবানীপুর এফসি। আইলিগ দ্বিতীয় ডিভিশনেও খেলেছে কলকাতার এই ক্লাব। যদিও এর থেকে বেশি এগোনো সম্ভব হয়নি তাঁদের। মোহনবাগান ক্লাবের প্রশাসনের সঙ্গে দুরত্ব বাড়ার পর ময়দানের এই ক্লাবকেই বলতে গেলে ২৪ ঘন্টা সময় দেন বাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বোস। এবার যুব ফুটবলার তুলে আনার লক্ষ্যে লা লিগা অ্যাকা়ডেমি ফুটবল স্কুলের সঙ্গে যুক্ত হল ভবানীপুর ফুটবল ক্লাব। তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনার পাশাপাশি ভারতীয় কোচদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে। প্রো ইন্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করবে ভবানীপুর ক্লাব। সাহায্য নেওয়া হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সেরও।
লা লিগা অ্যাকাডেমির টেকনিকাল ডিরেক্টর মিগুয়েল কাসাল, সৃঞ্জয় বোস, সুব্রত দত্তরা উপস্থিত ছিলেন এই চুক্তি ঘোষণা অনুষ্ঠানে। সেখানে মিগুয়েল বলেন, ‘স্পেনে যে পদ্ধতিতে ফুটবলার তৈরি করা হয়, সেরকমভাবেই বিজ্ঞানসম্মত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে এখান থেকে ফুটবলার তুলে আনতে চাই। ভারত থেকে প্রচুর প্রতিভা উঠে আসতে চলেছে আগামী দিনে। যা সাহায্য প্রয়োজন, সবরকমের সাহায্য আমরা দেব ফুটবলারদের তুলে আনতে। এছাড়াও এখানকার কোচেদের সাহায্য করব’।
ভবানীপুর ক্লাবের কর্তা সৃঞ্জয় বোস বেশ আশাবাদী এই চুক্তি নিয়ে। তিনি বলেন, ‘গোটা বাংলা জুড়েই বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলব। আগে সব জেলার বিভিন্ন স্কুল, অ্যাকাডেমির সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে। আবাসিক স্কুলের মতো করেই তাদের রেখে পড়াশোনা আর ফুটবল একসঙ্গে চালানোর কাজ করতে হবে। বিভিন্ন জেলা, স্কুল থেকে প্রতিভাদের বাছাই করে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে’। তাঁরপর তাদের ভবানীপুর এফসি প্রোইন্ডিয়া সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে অন্তর্ভুক্ত করে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে খেলানোর ইচ্ছা রয়েছে ক্লাব কর্তাদের।
সাধারণত ভারতের বিভিন্ন ক্লাব লা লিগার বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু সরাসরি লিগের সঙ্গে খুব বেশি চুক্তি করে না। এদেশে লা লিগার দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার বিপুল সমর্থক বেস রয়েছে। ফলে ভারতীয় ফুটবলের প্রতি লা লিগার কর্তারাও একটু দুর্বল। এদেশের ফুটবলপ্রেমের কথা শুনে তাঁরা বরাবরই এগিয়ে আসে সাহায্যের হাত বাড়াতে। সেই সুযোগই কাজে লাগাতে হবে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে, মত ফুটবলমহলের।
(Feed Source: hindustantimes.com)