ফুটবলার-সাপোর্ট স্টাফদের টাকা মেটাতে পারেনি, ফের হায়দরাবাদকে ব্যান করল FIFA

ফুটবলার-সাপোর্ট স্টাফদের টাকা মেটাতে পারেনি, ফের হায়দরাবাদকে ব্যান করল FIFA

ফের ট্রান্সফার ব্যানের শাস্তি দেওয়া হল আইএসএলের ক্লাব হায়দরাবাদ এফসিকে। এবারে এমনিতেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত থাকায় সেভাবে দলই গড়তে পারেনি নিজামের শহরের এই দল। অন্যান্যবার বেশ শক্তিশালী দল গড়ে বাকি ক্লাবগুলোকে টেক্কা দিয়ে থাকত হায়দরাবাদ। কিন্তু এবারে গোটা প্রতিযোগিতায় মাত্র ৮ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। এবার ফুটবলারদের টাকা না দিতে পেরে একাধিকবার শাস্তির মুখে পড়ল তারা। এর আগেই অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের তরফে তাঁদের দুটি উইন্ডোর জন্য ট্রান্সফার ব্যান দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল একই। ফুটবলার, কোচিং স্টাফদের বেতন নাকি মেরে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ক্লাব কর্তারা। এরপর তদন্ত করে ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। তদন্ত ঘটনার সত্য়তা প্রকাশ হতেই তাদের ফুটবলার ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে অর্থাৎ নতুন ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে নেমে এসেছিল কোপ। গত মার্চ মাসেই এই শাস্তির কথা জানানো হয়েছিল ফেডারেশনের তরফ থেকে।

এবার ফিফার তরফেও ফের শাস্তি দেওয়া হল হায়দরাবাদ এফসিকে। এবারই প্রথম নয়, অবশ্য একই শাস্তির মুখে এর আগেও পড়েছে এই ক্লাব। নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার বার্থোলোমৌ ওগবেচেকে সই করিয়েছিল তারা। কিন্তু এরপর তাঁকেও তাঁর প্রাপ্য টাকা দেয়নি। এরপরই হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ফিফায় যান তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রান্সফার ব্যানের শাস্তি দেওয়া হয় ক্লাবকে। এরই মধ্যে আরেক বিদেশি ফুটবলার ওদেই জাবালাও ফিফায় অভিযোগ জানান হায়দরাবাদ এফসির বিপক্ষে। এর জেরে ফের শাস্তির মুখে পড়ল এই ক্লাব।

ফিফার তরফে দেওয়ার চিঠিতে স্পষ্টই লেখা হয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবলার সইয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের নির্বাসিত করা হল। পাশাপাশি এআইএফএফকেও তারা জানিয়েছেন যাতে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাদের ফুটবলার ট্রান্সফার বন্ধ(ব্যান) করা হয়। ইতিমধ্যে গত শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে হায়দরাবাদ এফসি ছেড়েছেন নীখিল পুজারি, নিম দোর্জি তামাং, চিংলেনসানা সিংয়ের মতো ফুটবলাররা। ম্যানোলো মার্কুইজ গত বছরই দল ছাড়ার সময় দাবি করেছিলেন তাঁর ছয় মাসের বেতন বাকি। এরপর এআইএফএফও জানায় যে হায়দরাবাদ এফসি মোটেই পেশাদার ক্লাবের মতো কাজ করছে না। এরই মধ্যে একের পর এক ট্রান্সফার ব্যানে যে তাদের ওপর চাপ আরও বাড়ল তা বলাই বাহুল্য।

উল্লেখ্য ফুটবলারদের বকেয়া মেটানোর পর ফিফা ও এআইএফএফকে জানাতে হবে তাঁদের। তারপর ক্লিয়ারেন্স পেলেই ফের ফুটবলার নিতে পারবে তারা। অন্যথ্যায় তাদের ট্রান্সফার ব্যান বহাল থাকবে। এআইএফএফের দেওয়া শাস্তির জেরে হায়দরাবাদ এফসির এক বছরের নির্বাসন ছিল জাতীয় ক্ষেত্রে। এরই মধ্যে ফিফার দেওয়া শাস্তির নির্দেশের পর, এআইএফএফের শাস্তিও আরও এক মরশুমের জন্য বাড়তে চলেছে। এই অবস্থায় আদৌ তাদের পক্ষ দল চালানো সম্ভব কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)