‘গদ্দার শব্দে আপত্তি আছে, প্রয়োজন হলে মিঠুনদাকে আমার কিডনি দিয়ে দিতে পারি’, অকপট দেব

‘গদ্দার শব্দে আপত্তি আছে, প্রয়োজন হলে মিঠুনদাকে আমার কিডনি দিয়ে দিতে পারি’, অকপট দেব

কলকাতা: তিনি এবারের নির্বাচনের প্রার্থী। বিদায়ী সাংসদও বটে। তবে তার বাইরেও তিনি একজন অভিনেতা, প্রযোজক, ভীষণ প্রাণখোলা মানুষ। এবিপি আনন্দের (ABP Ananda) ‘কার দখলে দিল্লি’ অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে এসে ক্যামেরায় ধরা দিলেন যে মানুষটি, তিনি সাবলীল নিজের ছন্দে, নিজের শর্তে। তিনি দেব (Dev)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঘাটাল কেন্দ্রের প্রার্থী। পর্দা থেকে রাজনীতি, নিজের মনের কথা… অকপটে বলে চললেন তিনি।

দেব একাধিকবার বলেছেন মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)- র সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা। দেব ও মিঠুনের একসঙ্গে ছবিও রয়েছে, বক্সঅফিসে তা পেয়েছে জনপ্রিয়তাও। মিঠুনের অসুস্থতার সময়ে হাসপাতালে দেখতে পৌঁছে গিয়েছিলেন দেব। আবার বিরোধী দলের হলেও, দেবকে নিয়ে কোনও খারাপ কথা শোনা যায়নি মিঠুনের মুখেও। এদিনের অনুষ্ঠানে ব়্যাপিড ফায়ারে দেবের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) না পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Banerjee)? প্রসঙ্গত, দুজনের সঙ্গেই হিট ছবি রয়েছে দেবের।

উত্তরে দেব প্রথমে হেসে বলেন, ‘যে কোনও একজনের নাম নিলে অন্যজন আমায় মারবেন। এরপরে তিনি বলেন, বয়সের দিক থেকে মিঠুনদা আমার বাবার মতো আর পরাণদা আমার দাদুর মতো। দুজনেই আমার খুব কাছের। মিঠুনদার যদি শরীর খারাপ হয় আর কিডনি লাগে, আমি আমার কিডনি মিঠুনদাকে দিয়ে দিতে পারি। আর পরাণদা যদি অসুস্থ হন, ওঁর যদি রক্তের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি আমার শরীরের সমস্ত রক্ত ওঁকে দিয়ে দিতে পারি। এর চেয়ে বেশি ভাল ভাবে আমি এই দুজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করতে পারতাম না।’

দেবের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, ‘অসুস্থ মিঠুনকে দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে দেব বলেছিলেন, ‘মিঠুনদা আমার বাবার মতো’,  আবার দেবকে ইডির তলবের সময় মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, দেব ওরকম ছেলেই নয়। সেই মিঠুন চক্রবর্তীকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ‘আরেকজন বড় গদ্দার’ বলেন, তখন সেটা তো ছেলেসুলভ দেবের ভাল লাগার কথা নয়।’ উত্তরে দেব বলেন, ‘আমার এই শব্দগুলোতেই আপত্তি রয়েছে। দিদির পাশাপাশি, মোদির ‘দিদি ও দিদি’ ফুটেজটাও দেখানো হোক। এই ইভটিজ়িংটা গোটা দেশ জুড়ে চলছে। আমার এই কথাগুলোতেই আপত্তি রয়েছে। সে দিদি হোক বা দাদা, যখন হাজার হাজার মানুষ বক্তব্য শুনছেন কারও, তখন এই ধরণের শব্দ ব্যবহার না হলেই ভাল। এই শব্দ, আচরণ, ব্যবহারের বিরুদ্ধে।’

(Feed Source: abplive.com)