টাঙ্গাইল শাড়ি তুমি কার?‌ দু’‌দেশের মধ্যে রয়েছে দড়ি টানাটানি, জিআই তকমা বাংলাদেশে

টাঙ্গাইল শাড়ি তুমি কার?‌ দু’‌দেশের মধ্যে রয়েছে দড়ি টানাটানি, জিআই তকমা বাংলাদেশে

বছরটা ছিল ২০২৩। টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই তকমা দেওয়া নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয় ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে। তাতে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ দেখতে পাওয়া যায়। কারণ ভারতের নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তাতে ক্ষোভ উগরে দেন বাংলাদেশের মানুষজন। তাঁদের দাবি, টাঙ্গাইল তাঁদের। এমনকী এই ঘটনায় নিজের ক্ষোভ নিয়ে সোচ্চার হন সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। অবশেষে এবার বাংলাদেশে জিআই স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইল শাড়ি। এবার টাঙ্গাইল শাড়ি–সহ ১৪টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রক। সুতরাং এখন সেখানে খুশির হাওয়া।

এদিকে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সার্টিফিকেট হাতে আসায় সবাই খুশিতে মেতে ওঠেন। আর টাঙ্গাইলের জেলাশাসক কার্যালয়ের এডিসি জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘‌কদিন আগে টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের বলে জিআই সার্টিফিকেট দিয়েছে ভারত। তাই আমাদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। আর সেখানের একটা ল’ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল শাড়ির স্বীকৃতি যেন শুধু বাংলাদেশেরই থাকে। এই কাজ করার জন্য তাঁদের বলা হয়েছে। আশা করছি, আমরা জিতব।’‌ ১৪টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেন বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মেহমুদ হুমায়ূন। টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সার্টিফিকেট বাংলাদেশেরই থাকবে বলে দাবি করেন শিল্পমন্ত্রী।

অন্যদিকে ভারত ছোড়নে ওয়ালা পার্টি নয়। তাঁরাও এটার শেষ দেখতে চায়। বিশেষ করে এটা এপার বাংলার তথা পশ্চিমবঙ্গের বিষয়। তবে টাঙ্গাইল শাড়ি–সহ আরও বেশ কয়েকটি পণ্যের জিআই নিয়ে ভারতের দাবির বিষয়ে বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘‌বাংলাদেশ থেকে কোনও কারণে কেউ হয়ত ভারতে গিয়ে থাকতেই পারেন। তাই টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে ভারতের। কিন্তু এটা আমাদের সম্পূর্ণ নিজস্ব পণ্য। তাই সেটা আমাদেরই থাকবে।’‌ ভারতও টাঙ্গাইলকে জিআই দিয়ে বসে আছে। সুতরাং সমস্যা মেটেনি। আসলে দেশভাগের সময় ওপার বাংলা থেকে এপারে অনেক তাঁতি চলে আসেন পরিবার নিয়ে। তাঁরাই নদিয়া ও বর্ধমানে বসবাস করার সময় নিজের শিল্পকর্ম তুলে ধরেন।

তখন থেকেই টাঙ্গাইল শাড়ি এদেশে তৈরি হতে শুরু করে। জিআই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মন্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশি কাঁথাকে। বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী জানান, অন্য কেউ এসবের নকল করতে পারবে না। এগুলির প্রচার ও প্রসারের সঙ্গে জিআই পণ্যের গুণগত মানের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)