মোহনবাগান দল বানায় ট্রফি জয়ের জন্য, হাবাসের দর্শনেই বদলে গেছে বাগান-সঞ্জয় সেন

মোহনবাগান দল বানায় ট্রফি জয়ের জন্য, হাবাসের দর্শনেই বদলে গেছে বাগান-সঞ্জয় সেন

মোহনবাগান ক্লাবের তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন নামের আগে পরে এটিকে বা সুপার জায়ান্টস কিছুই বসেনি। মোহনবাগান ছিল শুধুই মোহনবাগান। দেবাশিস দত্ত, সৃঞ্জয় বসুদের মোহনবাগান। টুুটু বসুই ছিলেন যার গৌরী সেন। টাকা লাগলেই তখন রক্ষাকর্তা হতেন টুটু বাবু। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছিল, জেতা হয়নি জাতীয় লিগ। তাঁর আগে মরগ্যান জমানায় ডার্বিতে বারবার বাগানকে বিপাকে ফেলেছে লালহলুদ। এই পরিস্থিতিতেই সুভাষ ভৌমিকের পরিবর্তে ফেডারেশন কাপের পর দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সঞ্জয় সেন। ডাকাবুকো ভদ্রলোকের যে এত ভালো কোচিং সেন্স ছিল, তা অনেকেই বুঝতে পারেননি ততদিন। মোহনবাগানকে এনে দিয়েছিলেন বহুকাঙ্খিত সাফল্য।

তাঁর হাত ধরেই আইলিগ আসে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে। সোনি নর্দি, পিয়ের বোয়ারা থাকলেও কোচ সঞ্জয় সেনের ম্যাচ রিডিংই সেদিন বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে বাগানকে মূল্যবান পয়েন্ট এনে দিয়েছিল। এখন তিনি মোহনবাগান দলের সঙ্গে যুক্ত নেই, তবে মন পড়ে আছে সবুজ মেরুনেই। আজ আইএসএল ফাইনাল, জিততে পারলেই ইতিহাসে নাম লেখাবে সবুজ মেরুন। ঠিক কতটা এগিয়ে বা কতটা পিছিয়ে বাগান, জানালেন তাঁদের প্রথম আইলিগজয়ী কোচ সঞ্জয় সেন।

২০২০-২১ সালে এই মুম্বই সিটি এফসির বিপক্ষে পরপর হেরে শিল্ড এবং আইএসএল ট্রফি, দুই খোয়া গেছিল বাগানের। সেই সময় কোচিং স্টাফ হিসেবে যুক্ত ছিলেন সঞ্জয় সেন, মন থেকে চাইছেন সেই বদলাই যেন এবার নেয় মোহনবাগান। HT বাংলাকে ম্যাচের আগে বিশ্লেষণে সঞ্জয় সেন বলছেন, ‘ ২০২০-২১ সালে এই মুম্বইয়ের কাছে দুবার হেরে শিল্ড আর ট্রফি হেরেছিল মোহনবাগান। সেই সময় গোয়ায় খেলা হয়েছিল। যদি মুম্বই হারাতে পারে দুবার, তাহলে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে মোহনবাগানও হারাতে পারে। ভারতীয় হোক বা বিদেশী, সব দিক থেকেই সেরা দল এবারে মোহনবাগান। ভালো খেলল কি খারাপ খেলল মোহনবাগান, সেটা বড়় কথা নয়। কারণ বাগানকে ট্রফিটা জিততে হবে। মুম্বই সিটি এফসি দল একটা আলাদা স্টাইল নিয়ে খেলে যবে থেকে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে গাঁটছড়া বেধেছে, কিন্তু মোহনবাগানে ট্রফিই শেষ কথা। কাজটা কঠিন, কিন্তু করতে তো হবেই।’।

HT বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় সেন অবশ্য দুই দলের দুটি আলাদা অ্যাডভান্টেজের দিক তুলে ধরছেন, তাঁর কথায়,’মুম্বইয়ের একটা অ্যাডভান্টেজ, তাঁদের হারানোর কিছুই নেই। এত প্রতিপক্ষ দর্শকের সামনে খেলতে হচ্ছে এটাই তাঁদের মোটিভেট করবে। তবে মোহনবাগানের সব থেকে বড় অ্যাডভান্টেজ হচ্ছে কনভার্শন রেট। কামিন্স, পেত্রাতোস, সাদিকু গোল করেছে। ভারতীয় ব্রিগেড যেমন সাহাল গত ম্যাচে গোল করেছে। এত গোলের লোক থাকা বাগানকে এগিয়ে রেখেছে। ম্যানেজমেন্টের লক্ষ্য ট্রফি জেতা। যখন তাঁরা বুঝেছিলেন যে ট্রফি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে, তখন তাঁরা হাবাসকে নিয়ে এসেছেন। হাবাসের সুবিধা হয়েছে যেতেহু তিনি দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছিলেন, ফলে দলের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। তিনি এসেই তাঁর দর্শন অনুযায়ী জনি কাউকোকে নিয়ে আসেন,আর দলের খেলাও আরও ক্ষুরধার হয়’।

আইএসএলে এসেই অ্যাতলেতিকো দ্য কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। ১০ বছরের পূর্তিতে মোহনবাগানকে শিল্ড চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এবার কি আইএসএল ট্রফি জিতিয়ে বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে পারবেন স্প্যানিশ বস, উত্তর মিলবে আজ সন্ধ্যায়।

(Feed Source: hindustantimes.com)