অবশেষে রাজ্য সরকারি সংস্থার চাকরির পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক বাংলা, বরাদ্দ ১০ মার্কস

অবশেষে রাজ্য সরকারি সংস্থার চাকরির পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক বাংলা, বরাদ্দ ১০ মার্কস

রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের অধীনস্ত কোম্পানি WBSEDCL-এর চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ৮৫ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বরের বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হল। এই সংস্থার চাকরির পরীক্ষায় বাংলাকে বাধ্যতামূলক করার জন্যে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল বাংলা পক্ষ। এই আবহে WBSEDCL-এর চাকরির লিখিত পরীক্ষায় বাংলা বাধ্যতামূলক হওয়ার বিষয়টিকে তাই নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছে বাংলা পক্ষ। এদিকে বাংলার জন্যে পরীক্ষায় বরাদ্দ নম্বর মাত্র ১০ হলেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ১০ মার্কসেই ৪ নম্বর পেয়ে পাশ করা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও দু’জন পরীক্ষার্থীর একই নম্বর হলে বাংলায় বেশি নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থী অগ্রাধিকার পাবেন। এই আবহে WBSEDCL-এর চাকরির লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ভাষার গুরুত্ব অনেকটাই।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই WBSEDCL-এ চাকরির লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করে এসেছে বাংলা পক্ষ। এই দাবিকে সামনে রেখে বাংলা পক্ষ চাকরিপ্রার্থীদের সাথে নিয়ে একাধিকবার WBSEDCL প্রধান কার্যালয়ে ও অন্যান্য জেলা অফিসে অভিযানও চালিয়েছিল। এছাড়াও মন্ত্রী,আমলা ও বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরে এটা নিয়ে নিরন্তর আলাপ আলোচনাও করেছিলেন সংগঠনের নেতৃত্ব। এই আবহে এই রাজ্য সরকারি সংস্থার পরীক্ষায় বাংলার অন্তর্ভুক্তির সিন্ধান্তে খুশি বাংলা পক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বাঙালি ভূমিপুত্র চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা একপ্রকার নিশ্চিত করা গেল।

প্রসঙ্গত, WBSEDCL রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রতি বছরই বেশ কিছু পদে নিয়োগ হয়। চাকরিগুলির মাইনে ও সুযোগ সুবিধাও বেশ ভালো। সাম্প্রতিক অতীতে বাংলা ভাষার পরীক্ষা না থাকায় সেখানে বাইরের রাজ্য থেকে আগত চাকরিপ্রার্থীরা বেশি করে সুযোগ পাচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে বাঙালি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। আর তাই আন্দোলনে নেমেছিল বাংলা পক্ষ। সরকারের এই পদক্ষেপের পরে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক মাইতি লেখেন, ‘বাংলা পক্ষর দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বিদ্যুৎ দপ্তরের কোম্পানী WBSEDCL-এ চাকরির পরীক্ষায় ৮৫ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বরের বাংলা ভাষা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হল। বাঙালির জয়। এতে বাঙালি ছেলেমেয়েদের বিশাল লাভ হবে। জয় বাংলা।’ এদিকে কৌশিকবাবু জানান, এই পরীক্ষায় বাংলা বাধ্যতামূলক হওয়ার এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরেই সামাজিক মাধ্যমে, ফোনে বাঙালি চাকরি প্রার্থীরা বাংলা পক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)