বেঙ্গালুরু: আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় জেরবার বহু মানুষ। আসলে এই আর্থ্রাইটিস শরীরের গাঁট বা জয়েন্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আজ এই প্রসঙ্গে কথা বলবেন বেঙ্গালুরু রিচমন্ড রোডের বোন অ্যান্ড জয়েন্ট সার্জারি ফর্টিস হাসপাতালের এইচওডি ট্রমা এবং অর্থোপেডিক্স ডা. সাই কৃষ্ণা বি নায়ডু। তিনি জানান যে, আর্থ্রাইটিস আসলে চার ধরনের হয়। যথা – অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ট্রমাটিক আর্থ্রাইটিস এবং সোরিয়াট্রিক আর্থ্রাইটিস।
উপসর্গ: এর সবথেকে সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল ব্যথা, কাঠিন্য ইত্যাদি। সেই সঙ্গে হাঁটার সময় তীব্র যন্ত্রণার অনুভূতিও থাকে। এমনকী ঘুমোনোর সময়ও ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। যার জেরে ঘুমের সমস্যা হতে থাকে। সব মিলিয়ে দৈনিক কাজ করতে অসুবিধার মধ্যে পড়েন রোগী।
কারণ: অতিরিক্ত কার্টিলেজ উয়্যারের কারণে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে পারে। কার্টিলেজ হল হাড়ের শেষ প্রান্তের একটা আস্তরণ। জয়েন্ট যাতে মসৃণ ভাবে কাজ করতে পারে, তার জন্য সাহায্য করে কার্টিলেজ। ৬০ বছর বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সকলের মধ্যেই আর্থ্রাইটিক ব্যথার উপসর্গ দেখা যায়।
বেঙ্গালুরু রিচমন্ড রোডের বোন অ্যান্ড জয়েন্ট সার্জারি ফর্টিস হাসপাতালের এইচওডি ট্রমা এবং অর্থোপেডিক্স ডা. সাই কৃষ্ণা বি নায়ডু
ভারতে সাধারণত নিতম্বের জয়েন্টের পর হাঁটুর জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা যায়। বয়স বৃদ্ধি কিন্তু এই রোগের অন্যতম বড় একটি কারণ। পুরুষদের তুলনায় আবার মহিলাদের অস্টিওআর্থ্রাইটিসের আশঙ্কা বেশি। ওবেসিটি, জয়েন্টে ক্ষত, মেটাবলিক রোগ এবং পুরনো ফ্র্যাকচারের জেরে হাড়ের অস্বাভাবিকতা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
স্টেরয়েড-সহ বিভিন্ন ওষুধের জন্য নিতম্বের জয়েন্টের অ্যাভাস্কুলার নেক্রোসিস (রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়া) হয়ে থাকে। অতিমারী পরবর্তী কালে এই বিষয়টা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কারণ নতুন কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এই মারণ ভাইরাসটিই অ্যাভাস্কুলার নেক্রোসিসের রিস্ক ফ্যাক্টর। এছাড়া আমাদের দেশে পরিবেশগত ও জিনগত কারণ এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণেও এই রোগ হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়: এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে এই প্রক্রিয়াটি বিলম্ব করা যেতে পারে। তাই এখন শরীরকে চালনা করতে হবে বা কাজে সক্রিয় থাকতে হবে। প্রতিদিন প্রায় ১ ঘণ্টা হাঁটতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করা আবশ্যক। যোগাভ্যাসের মাধ্যমেও নিজেকে সক্রিয় রাখা যেতে পারে।
এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। যেসব জায়গার জলে উচ্চমাত্রার ফ্লোরাইড আছে, সেখানে জল পরিস্রুত করেই খাওয়া উচিত। সামুদ্রিক খাবারে উচ্চ পরিমাণে গ্লোকোস্যামিন উপাদান থাকে। যা কার্টিলেজকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
(Feed Source: news18.com)