এই ধাবার আলু পরোটা খাওয়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে সবাই

এই ধাবার আলু পরোটা খাওয়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে সবাই

পূর্ব বর্ধমান: জেলার মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা হল কাটোয়া-বর্ধমান রোড। জেলার বিভিন্ন সদর দফতর রয়েছে বর্ধমান শহরে। যে কারণে প্রত্যেকদিনই বহু মানুষ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে আসেন। প্রায় প্রত্যেকদিনই বিভিন্ন কারণে কাটোয়া হয়ে বর্ধমান যেতে হয় মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার বহু মানুষকে। আর এই কাটোয়া-বর্ধমান রোড দিয়ে যারা যাতায়াত করেন তাঁদের খাবার খাওয়ায় জন্য কোনও না কোনও জায়গায় একবার হলেও দাঁড়াতে হয়। এই প্রতিবেদনে কাটোয়া-বর্ধমান রোডের উপর টিফিন করার এক দারুণ জায়গার সন্ধান দেব আপনাদের।

এই রোডেই রয়েছে একটি জনপ্রিয় ধাবা। বর্ধমান রোডে যাতায়াত করেছেন অথচ এই ধাবায় আসেননি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। রাস্তার দু’ধারে বেশ কয়েকটি ধাবা থাকলেও এই রাস্তায় অবস্থিত তিরুপতি ধাবার জনপ্রিয়তা অন্য মাত্রায়। এই প্রসঙ্গে ধাবার কর্ণধার তন্ময় হুঁই বলেন, ১৪ বছর ধরে ধাবা চলছে। আমাদের এখানকার আলুর পরোটা, নান-এর চাহিদা ব্যাপক। আলুর পরোটা হোক বা চিকেন কিংবা চাইনিজ, পথচলতি মানুষদের পাতে প্রায় সব রকম খাবারই পরিবেশন করে থাকে এই ধাবা। বর্তমানে এই ধাবায় ১০ জনেরও বেশি কর্মচারী প্রতিদিন কাজ করেন। তিরুপতি ধাবার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তন্ময় হুঁই জানান, আরও বড় করে, নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে এই ধাবা। ক্রেতাদের সুবিধার জন্য এসিরও ব্যবস্থা করা হবে।

সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত বহু মানুষ এই ধাবায় খাবার খাওয়ার জন্য ভিড় জমান। এখানকার আলুর পরোটা খাওয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। এছাড়াও এই তিরুপতি ধাবায় বিভিন্ন ধরনের চাইনিজ খাবারও পাওয়া যায়। এখানে স্বল্পমূল্যে প্রায় ৫ থেকে ৭ রকমের পদ দিয়ে পাওয়া যায় সাজানো ভাতের থালি।

বর্ধমান রোডের উপর দিয়ে যদি কাটোয়া থেকে বর্ধমান যাওয়া হয়, তাহলে নিগন বাসস্ট্যান্ডের পরেই রাস্তার বামদিকে পড়বে এই তিরুপতি ধাবা। সপ্তাহের প্রত্যেকদিন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ১৪ বছর ধরে আজও সকলের মনে এক আলাদা জায়গা ধরে রেখেছে এই নিগনের তিরুপতি ধাবা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

(Feed Source: news18.com)