৫ বছর পরে কমেডিতে অক্ষয় কুমার, নিজের সেরাটা দিলেন তাপসী; কেমন হল ‘খেল খেল মেঁ’?

৫ বছর পরে কমেডিতে অক্ষয় কুমার, নিজের সেরাটা দিলেন তাপসী; কেমন হল ‘খেল খেল মেঁ’?

মুম্বই: স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পাচ্ছে মুদস্সর আজিজ পরিচালিত ‘খেল খেল মেঁ’। যেখানে প্রতিফলিত হবে সম্পর্কের জটিলতা-ঝঞ্ঝাট এবং সূক্ষ্মতাও। মূলত ২০১৬ সালের ইতালিয়ান কমেডি-ড্রামা ‘পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জার্স’-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে ছবিটি। মজার বিষয় হল, ২৮ বার রিমেক হয়েছে ছবিটির। যা একটা রেকর্ডও বটে। তবে এই প্রয়াসের জন্য প্রশংসা প্রাপ্য পরিচালকের।

‘খেল খেল মেঁ’ ছবির শুরুতেই দেখা যায়, তাড়াহুড়ো করে জয়পুরের উড়ান ধরতে যাচ্ছে ঋষভ নামে এক প্লাস্টিক সার্জন। বিমানবন্দরে তাঁর দেখা হয় সুন্দরী কাদম্বরীর সঙ্গে। এরপর ঋষভ জানতে পারেন যে, উড়ানটিতে আর কোনও সিট বাকি নেই। ফলে বিমানবন্দরের এক কর্মী মিথ্যা বলেন তিনি। জানান যে, মৃত্যুশয্যায় রয়েছে তাঁর কুকুর। ফলে পোষ্যকে শেষ দেখা দেখতেই যাচ্ছেন তিনি।

এতে আবেগপ্রবণ হয়ে বিমানবন্দরের কর্মী ঋষভ এবং কাদম্বরীকে টিকিট দিয়ে দেন। এরপর উড়ানে দুজনে বাক্যালাপে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঋষভ জানান, জয়পুর আসলে শ্যালিকার বিয়েতে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। অক্ষয় কুমার এবং চিত্রাঙ্গদা সিংয়ের এই দৃশ্য ভক্তদের নস্ট্যালজিয়ার সামনে দাঁড় করাবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে উঠবে দেশি বয়েজ ছবির থিম মিউজিক।

ঋষভ আসলে মিথ্যা বলায় পটু। আর প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়ে মিথ্যা বলে তা কাটিয়ে উঠতে পারে বলে সে গর্বিতও বটে! এরপর দেখা যায় ঋষভের লেখিকা স্ত্রী বর্তিকাকে। সেই সঙ্গে সামনে আসেন আরও দুই দম্পতি – সমর ও নয়না আর হরপ্রীত ও হরপ্রীত। তবে ঋষভের সঙ্গে বর্তিকার বৈবাহিক সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয়। এদিকে ঋষভের প্রথম পক্ষের কন্যার সঙ্গেও বর্তিকার সম্পর্ক ভাল নয়। বর্তমানে নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্ককে আরও একটা সুযোগ দিচ্ছে ঋষভ-বর্তিকা।

এদিকে নয়নার বাবার ফার্মের কর্মচারী সমর। ধনীঘরের কন্যা নয়না বিলাসব্যসনেই জীবন কাটায়। আর অন্যদিকে পঞ্জাবি দম্পতি হরপ্রীত আর হরপ্রীত। দেখেশুনে বিয়ে হলেও তাঁদের সম্পর্কও খুব একটা ভাল না। স্ত্রীকে খাটো করতে একবারও ভাবেন না স্বামীটি। এদিকে স্ত্রী সব সময় স্বামীকে তুষ্ট রাখতে চায়। সকলে মিলিত হয় জয়পুরের বিয়েবাড়িতে। এদিকে যোগ দেয় এই গ্রুপের আরও এক সদস্য তথা ক্রিকেট কোচ কবীর।
বিয়েবাড়িতে বর্তিকা মোবাইল নিয়ে সকলের সঙ্গে একটি গেম খেলতে শুরু করে। যা খেলতে সম্মত হয় প্রত্যেক স্ত্রী-ই। অথচ স্বামীরা এই গেম খেলতে চায়নি। তবে পরে সম্মত হলে শুরু হয় খেলা। ফলে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে থাকে গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন সত্য। ছবির প্রথম ভাগে প্রচুর মজাদার মুহূর্ত দেখা যাবে। তবে দ্বিতীয় ভাগেই দেখা যায় আসল ম্যাজিক।

তবে এই ছবিতে সবথেকে বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য তাপসী পান্নুর। ছবির সেরা বিষয়টা তিনিই এটা বলা যেতে পারে। ফারদিনের চরিত্রটাও এখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সব মিলিয়ে বলতে গেলে দেখা যেতেই পারে ‘খেল খেল মেঁ’। কারণ আবার কমেডি অবতারে অক্ষয় কুমার। কারণ ‘হাউজফুল ৪’-এর পাঁচ বছর পরে কমেডি ধারায় কামব্যাক করলেন তিনি।

(Feed Source: news18.com)