
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে (R G Kar Incident) দফায় দফায় জেরা করে মিলেছে বহু তথ্য। আরজিকরের চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে বারবার জেরা করা হলেও কোনও নতুন তথ্য বের করতে পারেনি সিবিআই (CBI)। এবার তার পলিগ্রাফ টেস্ট (Polygraph Test) করাতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এই টেস্ট করতে শিয়ালদা কোর্টে আবেদন করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
কীভাবে করা হয় এই পলিগ্রাফ টেস্ট?
তদন্তকারীরা যখন মনে করেন যে ধৃত ব্যক্তি মিথ্যে বলছেন, তখনই সাধারণত এই টেস্ট করানো হয়। এই টেস্টের মাধ্যমে সহজেই জানা যায় যে ধৃত ব্যক্তি সত্যি বলছেন নাকি কিছু লুকোতে চাইছেন? এই টেস্টে শ্বাসের হার, শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবর্তন, রক্তচাপ এবং কতটা ঘাম হচ্ছে তা পরীক্ষা করা হয়। যেহেতু এটি একটি শারীরিক পরীক্ষা এবং বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়, তাই আইনি অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়।
পলিগ্রাফ হল একটি মেশিন, যেখানে চার থেকে ছয়টি সেন্সর থেকে একাধিক সংকেতগুলি কাগজের একটি স্ট্রিপে রেকর্ড করা হয়। সাধারণত হাত এবং পায়ে সেন্সর যোগ করা হয়। রক্তচাপ ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য একটি মনিটর, আঙ্গুল ও হাতের তালুতে তড়িৎ প্রবাহের পরিবর্তন লক্ষ্য করার জন্যে দুটি নল বুক ও পাকস্থলীর আশেপাশে যুক্ত করা হয়।
নানা বৈজ্ঞানিক তথ্য অনুযায়ী পলিগ্রাফ পরীক্ষা শুরু হলে, প্রশ্নকর্তা প্রথমে তিন বা চারটি সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। এরপর ধীরে ধীরে একের পর এক তদন্তের জটিল প্রশ্ন করেন। কোনও প্রশ্নে উপরিউল্লিখিত লক্ষণগুলি পরিবর্তিত হওয়ার গতিবিধিতেই বোঝা যায় ব্যক্তিটি সত্য বলছেন নাকি মিথ্যে বলছেন? মিথ্যে বলার ফলে মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে আচরণগত এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো দেখা যায় যা মানসিকভাবে অস্থির হয়ে থাকলে ধরা পড়ে ওই গ্রাফে।
তবে পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়েও নানা বিতর্ক রয়েছে কারণ পলিগ্রাফ টেস্ট সর্বৈবভাবে সত্যি মিথ্যের ফারাক করে দিতে পারে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এমনকী কী প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হচ্ছে তার উপরও এই টেস্টের নির্ভুলতা অনেকটাই নির্ভরশীল। যদি যিনি প্রশ্ন করছেন তিনি টেস্টটি সঠিকভাবে পরিচালনা করেন এবং প্রশ্নে প্রশ্নকর্তার সঠিক নিয়ন্ত্রণ থাকে তাহলে ৮০% -৯০% ক্ষেত্রে নির্ভুল উত্তর পাওয়া যেতে পারে।
(Feed Source: zeenews.com)
