‘তীব্র ধিক্কার, বিচার পাক মৃতার পরিবার’, মুখ খুললেন RG Kar পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের সদস্য

‘তীব্র ধিক্কার, বিচার পাক মৃতার পরিবার’, মুখ খুললেন RG Kar পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের সদস্য

কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: আরজিকর কাণ্ডে এবার মুখ খুললেন রাধা গোবিন্দ কর (RG Kar) পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের সদস্য সত্যজিৎ কর। তিনি বলেন, ‘এটা নিন্দনীয় ঘটনা। এর সুবিচার চাই। আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই। নৃশংস, অমানবিক ঘটনা ঘটবার জন্য সমাজের সমস্ত মানুষ রাস্তায় নেমেছে।’ তিনি চান, দ্রুত এই কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি হোক। আর বিচার পান সন্তানহীনা মৃত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার।

রাধাগোবিন্দ কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল  কলকাতার সবচেয়ে পুরাতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৮৮৬ সালে আরজিকর মেডিকেল প্রতিষ্ঠা করেন ডাঃ রাধাগোবিন্দ কর। সত্যজিৎ কর তিনি রাধাগোবিন্দ করের পর চতুর্থ প্রজন্ম। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। তবে তিনি তাদের পুরনো হাওড়ার রামরাজাতলার বাড়িতেই থাকেন।যেখানে থাকতেন ডাঃ রাধাগোবিন্দ কর। সত্যজিৎ কর বলেন, রাধাগোবিন্দ করের প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যা হয়েছে তা তাদের সবাইকেই ব্যাথিত করেছে। আমরা সুবিচার চাই। দোষীদের শাস্তি চাই। তার পুরনো গড়িমা ফিরে পাক। মঙ্গলবার সত্যজিৎ কর বর্ধমানে এসেছিলেন তাঁর সংস্থার কাজে।

চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যেই, আর জি কর মেডিক্যালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে SIT গঠন করল রাজ্য সরকার। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের জমানায়, ২০২১ সাল থেকে, ব্যাপক কারচুপি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আর জি কর মেডিক্যালে। তার তদন্তে IG পদমর্যাদার অফিসার প্রণব কুমারের নেতৃত্বের ৪ সদস্যের সিট গঠন করল স্বরাষ্ট্র দফতর। এক মাসের মধ্যে SIT-কে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডাক্তার ছাত্রীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রাজ্য়ের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামোয় গলদের অভিযোগ প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও। এই পরিস্থিতিতে গতকাল স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের একটি বৈঠক হয়। কোন মেডিক্যাল কলেজে কত সংখ্যক CC ক্যামেরা রয়েছে, কল ডিউটি রুমগুলির কী অবস্থা, প্রয়োজনের তুলনায় তা পর্যাপ্ত কিনা, স্টাফদের জন্য কত সংখ্যক শৌচালয় রয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।

(Feed Source: abplive.com)