অনলাইন লেনদেনের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। বিপ্লব ঘটিয়েছে ইউপিআই। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জালিয়াতিও। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক তথ্য সুরক্ষিত রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বর্তমানে ইউপিআইতে নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড এবং পিন দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। জালিয়াতরা খুব সহজেই পাসওয়ার্ড বা পিন হ্যাক করতে পারে। এর জায়গায় অনেক বেশি সুরক্ষা দিতে পারে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন।
শারীরিক বা আচরণগত বৈশিষ্টের মাধ্যমে গ্রাহকের পরিচয় যাচাই করার পদ্ধতিই হল বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন। এতে আঙুলের ছাপ, আইরিশ প্যাটার্ন, ফেসিয়াল ফিচার, ভয়েস এমনকী টাইপিং প্যাটার্নো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই পদ্ধতি স্ট্যান্ডার্ড পাসওয়ার্ড বা পিনের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ।
ইউপিআই লেনদেনে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের সুবিধা: প্রত্যেক ব্যক্তির বায়োমেট্রিক ডেটা আলাদা। পাসওয়ার্ড নকল করা যায়, কিন্তু বায়োমেট্রিক নয়। ফলে ইউপিআই হ্যাক করাটা তখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে প্রতারকদের কাছে।
ইউজারদেরও সুবিধা হবে। জটিল পাসওয়ার্ড বা পিন মনে রাখার ঝামেলা থাকবে না। লগ ইন প্রক্রিয়াও সহজ হবে। বিশেষ করে প্রযুক্তিগতভাবে যাঁরা পারদর্শী নন তাঁদের কাছে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন আশীর্বাদস্বরূপ।
পাশাপাশি ইউজারদের বিশ্বাস জন্মাবে। লেনদেন যে সুরক্ষিত থাকবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারবেন তাঁরা। বায়োমেট্রিক ডেটা যেহেতু শারীরিক বৈশিষ্টের সঙ্গে যুক্ত তাই পাসওয়ার্ড বা পিনের তুলনায় চুরি করা বা নকল করা কঠিন। যার ফলে প্রতারণার সম্ভাবনা কমবে।
ইউপিআই লেনদেনে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের অসুবিধা: ছবির গুণমান বা পরিবেশগত অবস্থার কারণে লগ ইন করতে সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া স্টোরেজ এবং ট্রান্সমিশনের সময় বায়োমেট্রিক ডেটা রক্ষা করার জন্য শক্তিশালী এনক্রিপশন অপরিহার্য।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বায়োমেট্রিক সিস্টেম ব্যবহার করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে পারেন। ধরে নেওয়া যাক, কারও হাতে গুরুতর আঘাত রয়েছে, তখন তিনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ব্যবহার করতে পারবেন না।
বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের কার্যকরী বাস্তবায়নের জন্য ইউজারের উপলব্ধি এবং গ্রহণযোগ্যতা প্রয়োজন। ব্যাপকভাবে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা গুরুত্বপূর্ণ।
(Feed Source: news18.com)