ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে আজ মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও বেঙ্গালুরু এফসি একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচ জেতে সবুজ মেরুন।
তবে মাঠে টিফোর পাশাপাশি, ড্রাম, আতসবাজিসহ একাধিক বস্তু নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে SFI-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস। হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন সব বুঝেশুনে টিফো নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেন। মাঠেই মোহনবাগান গ্যালারি থেকে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে, ‘আমাদের বোনের বিচার চাই!’ লেখা এক বিরাট টিফো প্রদর্শন করা হয়।
স্ট্যান্ডে বিচারের দাবিতে আওয়াজ তোলেন সমর্থকরা। আর মাঠে চলে এক হাড্ডাহাড্ডি। মোহনবাগান সুযোগ তৈরি করলেও, সুনীল ছেত্রীর পেনাল্টিতে ম্যাচে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি।
ম্যাচে শুরু থেকেই মোহনবাগান রক্ষণকে চাপে ফেলছিলেন বিনীথ। চোট পেয়ে শুভাশিস বাইরে চলে যাওয়ার পর সেই ঝাঁঝ আরও বাড়ে। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান রক্ষণের ভুলে পারেইরা পাস থেকে ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে দিয়ে বেঙ্গালুরুর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বিনীথই।
ম্যাচের এক ঘণ্টার পরপরই মোহনবাগানের মনবীরের জার্সি টেনে তাঁকে পেনাল্টি বক্সে ফাউল করা হলে জীবনদান পায় সবুজ মেরুন।
পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের ব্যবধান অর্ধেক করতে কোনও ভুল করেননি তারকা ফরোয়ার্ড দিমিত্রি পেত্রাতোস।
এরপরে মোহনবাগান ম্যাচে সমতায় ফেরার লক্ষ্যে হু হু করে আক্রমণ গড়ে তোলে। শেষমেশ সাফল্যও মেলে। ৮৪ মিনিটে পেত্রাতোসের এক কর্নার পৌঁছয় অনিরুদ্ধ থাপার কাছে। বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে বিশ্বমানের এক গোলে দলকে সমতায় ফেরান মিডফিল্ডার। ম্যাচ ২-২ স্কোরে শেষ হয়।
খেলা গড়ায় পেনাল্টি শ্যুট আউটে। শ্যুট আউটে দুই দলই নিজেদের প্রথম তিনটি কিক সঠিকভাবে গোলে রূপান্তরিত করে। তবে ফের একবার দলের নায়ক হয়ে উঠেন বিশাল কায়েথ।
কোয়ার্টার ফাইনালের মতো সেমিফাইনালে বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে জোড়া পেনাল্টি বাঁচান মোহনবাগান গোলরক্ষক। ৪-৩ শ্যুট আউট জিতে নাগাড়ে দ্বিতীয়বার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছল সবুজ মেরুন।
৩১ অগাস্ট নিজেদের ১৮তম ডুরান্ড কাপ জয়ের লক্ষ্য়ে সবুজ মেরুন মাঠে নামতে চলেছে। প্রতিপক্ষ প্রথমবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছনো নর্থইস্ট ইউনাইটেড। ছবি- মোহনবাগান/পিটিআই
(Feed Source: abplive.com)