বিকেল ৫.৩০-এই ডিনার করে নেয় অনুষ্কা-কন্যা ভামিকা, জানেন কী হতে পারে এই রুটিন মেনে চললে?

বিকেল ৫.৩০-এই ডিনার করে নেয় অনুষ্কা-কন্যা ভামিকা, জানেন কী হতে পারে এই রুটিন মেনে চললে?

কলকাতা: সদ্য ভারতে এসেছেন অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma)। সঙ্গে একরত্তি ভামিকা আর পুত্র অকায়। আর ভারতে এসেই, একটি টক শো-তে অংশ নিয়েছিলেন অনুষ্কা। সেখানে এসে, নিজের ছেলে মেয়ের রুটিন নিয়ে তিনি যা বললেন, তা শুনে চোখ কপালে তুললেন অনেক ভারতীয় মায়েরাই। এও কি সম্ভব! তবে অনুষ্কা নাকি নিজের বাচ্চাদের রুটিনের বিষয়ে ভীষণ কড়া। অনেক বেশি সফর করতে হলেও, বাচ্চাদের কখনও রুটিন ছাড়া হতে দেন না তিনি। এমন কি রুটিন বললেন অনুষ্কা? এই রুটিন মেনে চললে তাঁর ফলাফলই বা কি হতে পারে? সেই কথাও খোদ বললেন নায়িকাই।

ভামিকা বা অকায় জন্মের আগে থেকেই তাড়াতাড়ি রাতের খাওয়া খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস বিরাট ও অনুষ্কার। ছেলে আর মেয়েকেও একই অভ্যাস করিয়েছেন তাঁরা। রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে, তাড়াতাড়িই শুয়ে পড়েন তাঁরা। এর ফলে স্বাস্থ্যের দিক থেকে অনেক সুবিধাই পাওয়া যায়। অনুষ্কা জানান, বেশির ভাগ সময়েই বাড়িতে তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে একাই থাকেন। তাই তিনি ভামিকাকে অভ্যাস করিয়েছেন বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার। ভামিকার সঙ্গে সঙ্গে তিনিও তাড়াতাড়িই খেয়ে নেন। এরপরে ভামিকাকে নিয়েই একসঙ্গে রান্নাঘর গোছানোর অভ্যাস করেছেন তিনি। রান্নাঘর বন্ধ করে, ছেলে আর মেয়ের সঙ্গে খেলা করে কিছুটা সময় কাটান অনুষ্কা। খাবার পরেই সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়েন না তিনি। ছেলে ও মেয়েকে কিছুটা সময় দিলেও রাত ৯টার মধ্যেই শুয়ে পড়েন তাঁরা।

অনুষ্কা জানিয়য়েছেন, তিনি নিজেও একটা সময় খুব দেরি করে রাতের খাবার খেতেন। রুটিনে বাঁধা ছিল না বিরাটের জীবনও। কিন্তু অনুষ্কা ধীরে ধীরে খাবার সময় এগিয়ে আনেন। এতে একদিকে যেমন রাতের ঘুম ভাল হয়, তেমনই সকালে অনেকটা ঝরঝরে হয়ে ওঠা যায়। হজমের কোনও সমস্যা হয় না। সারাটা দিন অনেক বেশি সচল থাকা যায়। এই সমস্ত উপলদ্বি করেছেন অনুষ্কা নিজেই। তিনি আরও বলেন, ছেলে এবং মেয়ের জন্য তিনি ও বিরাট নিজের হাতেই খাবার বানাতে পছন্দ করেন। ওরা তাই বাড়ির খাবার খেয়েই বেড়ে উঠছে।

(Feed Source: abplive.com)