শ্রীজেশকে সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর, পাল্টা কী উত্তর দিলেন ভারতীয় হকির কিংবদন্তি?

শ্রীজেশকে সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর, পাল্টা কী উত্তর দিলেন ভারতীয় হকির কিংবদন্তি?

নয়াদিল্লি: প্যারিস অলিম্পিক্সের পরই হকিকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় হকির কিংবদন্তি গোলরক্ষক পি আর শ্রীজেশ। টোকিও ও প্যারিস দুটো অলিম্পিক্সের মঞ্চেই ব্রোঞ্জ জয়। দেশে ফিরে সংবর্ধিত হয়েছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খোলা চিঠি পেলেন প্রাক্তন হকি তারকা। চিঠিতে শ্রীজেশের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী দেশের হকিতে শ্রীজেশের অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন। শ্রীজেশের দুরন্ত রিফ্লেক্স, একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও চাপের মুখে ঠাণ্ডা মাথায় লড়াইয়ের দরাট সার্টিফিকেট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মোদি আরও লিখেছেন, ”আমি তোমাকে ও তোমার পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। তাঁরা যেভাবে নিজেদের আত্মত্যাগ করেছে, তার জন্য়ই তুমি হকিতে নিজেকে এই উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছ।” জুনিয়র দলের কোচ হিসাবে শ্রীজেশের প্রভাব সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী, প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, “আমি নিশ্চিত যে নতুন ভূমিকায় আপনার কাজ ততটাই প্রভাবশালী এবং অনুপ্রেরণাদায়ক হবে।”

প্রধানমন্ত্রীর চিঠির উত্তরে শ্রীজেশ লেখেন, “আমার অবসরে নরেন্দ্র মোদি স্যারের কাছ থেকে এই হৃদয়-উষ্ণতামূলক চিঠিটি পেয়েছি। হকি আমার জীবন ও আমি খেলাটি চালিয়ে যাব। হকিতে ভারতকে একটি শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ চালিয়ে যাব। যার শুরু ২০২০, ২০২৪ অলিম্পিক্সে দেখা গিয়েছে। আমার প্রতি আপনার বিশ্বাসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।”

প্যারিস থেকে কেরালায় ফেরার পর বিমানবন্দরে যে অভ্যর্থনা পেয়েছেন, তা সত্যিই ভুলতে পারছেন না শ্রীজেশ। তিনি বলছেন, ”এটা দারুণ অনুভূতি আমার জন্য। বিমানবন্দরে প্রচুর মানুষ আমাকে অভ্যর্থনা দিতে এসেছিলেন। প্রচুর কচিকাঁচাও ছিল তাদের মধ্যে। সবাই আমার নাম চিৎকার করছিল। এই মুহূর্ত আমি কোনওদিন ভুলব না। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে সাধারণ মানুষ সবাই এসেছিলেন আমাকে বরণ করে নিতে। প্রচুর কলেজ পড়ুয়াও ছিলেন। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ আমার তরফে।”

এরপরই শ্রীজেশ বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার মুহূর্তটাও আমাদের জন্য স্মরণীয়। দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম মানুষ। বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রশাসনিক নেতা। তবুও তিনি কত সুন্দরভাবে আমাদের সঙ্গে সময় বের করে দেখা করেছিলে। এর আগেও আমরা যখনই কোনও বড় টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল উনি পাশে ছিলেন। টুর্নামেন্ট থেকে ফেরার পরও পাশে থেকেছেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমি এবার পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলাম। তাই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গিয়েছিলাম। উনি আমার সন্তানদের সঙ্গে খেলেছেন। গল্প করেছেন। তাদের চকোলেট খাইয়েছেন। আমার ভাই ও বাবা, মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। সত্যিই দুর্দান্ত একজন মানুষ।”

(Feed Source: abplive.com)