পুরুষরা সব থেকে বেশি এই সব রোগে আক্রান্ত হন! সময় থাকতেই সাবধান হয়ে যান, রইল টিপস

পুরুষরা সব থেকে বেশি এই সব রোগে আক্রান্ত হন! সময় থাকতেই সাবধান হয়ে যান, রইল টিপস

পুরুষদের মধ্যে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। সেই ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পুরুষদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব। এই প্রতিবেদনে পুরুষদের সাধারণ কিছু রোগের বিষয়ে আলোচনা করবেন বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটির কাবেরী হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. অশ্বথ কুমার। এমনকি রোগের ঝুঁকি কমানোর কৌশলের বিষয়েও কথা বলেন তিনি।

ডা. অশ্বথ কুমার

কার্ডিওভাস্কুলার রোগ:

এর মধ্যে অন্যতম হল হার্টের রোগ এবং স্ট্রোক। এই কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ক্ষেত্রে রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি হল উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধূমপান, ওবেসিটি এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। রোগের আশঙ্কা কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শারীরিক কসরত করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার এক্সারসাইজ করা আবশ্যক। সেই সঙ্গে ধূমপান, মদ্যপানেও রাশ টানা জরুরি। এছাড়া ব্লাড প্রেশার এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়মিত ভাবে পরীক্ষা করানো দরকার।

প্রস্টেট ক্যানসার:

পুরুষদের মধ্যে সবথেকে সাধারণ ক্যানসার এটি। যত তাড়াতাড়ি রোগ ধরা পড়বে, চিকিৎসাতেও তত সুবিধা হবে। ৫০-এর বেশি বয়সী পুরুষ এবং রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে এমন পুরুষের নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো উচিত। এর পাশাপাশি সঠিক ওজন বজায় রাখার জন্য ব্যালেন্সড ডায়েট এবং নিয়মিত এক্সারসাইজের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। কারণ ওবেসিটি এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ডায়েটে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল আর সবজি বেশি পরিমাণে রাখতে হবে। রেড মিট, প্রসেসড মিট এড়িয়ে চলতে হবে।

আরও পড়ুন: উপসর্গ না থাকলেও প্রস্টেট ক্যানসার? যৌনজীবন বিপন্ন? ভুল ধারণা ভাঙলেন বিশেষজ্ঞ

ফুসফুসের ক্যানসার:

পুরুষদের মধ্যে এই রোগের হারও অত্যন্ত বেশি। আর এর জন্য দায়ী অতিরিক্ত ধূমপান। ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর জন্য সবথেকে কার্যকর উপায় হল ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা। এমনকী যেসব জায়গায় ধূমপান বেশি হয় কিংবা এর জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়, সেই সব জায়গা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এর পাশাপাশি বহু মানুষ রয়েছে, যারা এমন কারখানায় কাজ করে, যেখানে তারা সহজেই অ্যাসবেসটস অথবা রেডনের মতো কার্সিনোজেনের সংস্পর্শে আসে। তাদেরও সতর্ক হয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। বারবার কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা অথবা আচমকা ওজন হ্রাসের মতো উপসর্গ দেখা গেলেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়াবেটিস:

মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি। এটি নিয়ন্ত্রণ না করলে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। ঝুঁকি কমানোর জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। আর এর জন্য ব্যালেন্সড ডায়েট এবং নিয়মিত শারীরিক কসরত করা উচিত। সেই সঙ্গে মিষ্টি খাবার ও পানীয়, ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এর পাশাপাশি ব্লাড সুগারের মাত্রার উপর নিয়মিত নজর রাখতে হবে। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞেরও পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

(Feed Source: news18.com)