গর্ভাবস্থায় নিয়মিত এই কাজ করতেন দীপিকা, কী সুবিধা হয় এতে? জানালেন প্রশিক্ষক

গর্ভাবস্থায় নিয়মিত এই কাজ করতেন দীপিকা, কী সুবিধা হয় এতে? জানালেন প্রশিক্ষক

 

সদ্য মা হয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। গত ৮ সেপ্টেম্বর শিশু কন্যাকে স্বাগত জানিয়েছেন এই তারকা দম্পতি। এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কিছুই প্রকাশ্যে আনেননি তাঁরা, তবে এইটুকু জানা গেছে মা এবং মেয়ে দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। গর্ভাবস্থায় নিজেকে ফিট রাখার জন্য ঠিক কি কি করতেন অভিনেত্রী, সেটাই সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করেছেন দীপিকার প্রশিক্ষক অনুষ্কা পরওয়ানি।

সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে – কে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অনুষ্কা বলেন, মহামারী চলাকালীন ‘গেহেরিয়া’ সিনেমার জন্য দীপিকাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন তিনি। দীপিকা যে একজন অ্যাথলেটিক মনোভাব যুক্ত ব্যক্তি এবং ফিটনেসের দিকে যে তিনি ভীষণ মনোযোগী, সেটা তখনই বুঝে গিয়েছিলেন অনুষ্কা।

অনুষ্কা জানান, সন্তান জন্মের পর অন্যান্য অভিনেত্রীরা কিছু মাস বিশ্রাম নিয়েছিলেন কিন্তু দীপিকা ইচ্ছে করলেই দ্রুত কাজে ফিরতে পারবেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য তিনি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। প্রসব পূর্ববর্তী যোগাসন বা প্রি ন্যাটাল যোগ অভ্যাস করতেন তিনি। শেষ তিন মাসে এই কাজ প্রতিদিন করতেন দীপিকা।

অনুষ্কা আরও জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন কিছু বিশেষ যোগাসন এবং শারীরিক কসরত সন্তান এবং মায়ের জন্য ভীষণ উপকারী। এই সমস্ত যোগ ব্যায়াম করলে যেমন সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য শরীর ধীরে ধীরে প্রস্তুত হয় তেমন অন্যদিকে প্রসবের পর মা খুব তাড়াতাড়ি কর্মক্ষম হয়ে ওঠেন।

অন্তঃসত্ত থাকাকালীন যোগ ব্যায়াম করার কিছু উপকারিতা

১) শরীর অনেক বেশি নমনীয় হয়, পেশী হয় শক্তিশালী।

২) প্রসব ব্যথা কমে যায়। যোগাসন না করলে যে প্রসব ব্যথা চার ঘণ্টার বেশিই সহ্য করতে হয় সেটি আড়াই থেকে তিন ঘন্টায় নেমে যায়।

৩) রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে যার ফলে প্রসবের পর মায়েরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। কোমর এবং পায়ের সংযোগস্থলের পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪) সন্তান জন্মের পর কোমরের যে যন্ত্রণা দেখা যায় তা থেকে স্বস্তি পাওয়া যায় এই যোগাসন করলে।

৫) নিয়মিত যোগাসন হবু মায়েদের মানসিক চাপমুক্ত রাখতেও সাহায্য করে।

(Feed Source: hindustantimes.com)