জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অমিত শাহর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাল বাংলাদেশ সরকার। ভবিষ্যতে ওই ধরনের মন্তব্য থেকে অমিত শাহকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হল। সোমবার ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারকে দেওয়া এক নোটে এই প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কী বলেছিলেন অমিত শাহ? সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে দলের পরিবর্তন যাত্রা-য় বক্তব্য রাখছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, ঝাড়খন্ডে বিজেপি সরকার গড়তে পারলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে। আমি আপনাদের সবাইকে ঝাড়খন্ডে বিজেপি সরকার গঠনের জন্য আবেদন জানাতে চাই। আমরা প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করব। এই জমি আদিবাসীদের। কিন্তু এখানে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। আদিবাসীর সংখ্যা ৪৪ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। যেহেতু অনুপ্রবেশকারীরা জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডির ভোটব্যাংক, তাই এখানকার সরকার জনকল্যাণের পরিবর্তে অনুপ্রবেশকারীদের কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতের ঝাড়খণ্ড সফরে গিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে অত্যন্ত অশোভন মন্তব্য করেছেন। তার এমন বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারকে রাজনৈতিক নেতাদের এ ধরনের আপত্তিকর কাজ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শের আহ্বান জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে আসা এই ধরনের মন্তব্য দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার মনোভাবকে ক্ষুন্ন করে।
ঝাড়খণ্ডের ওই সভায় অমিত শাহ দাবি করেন, রাজ্যের পাকুড় জেলায় ‘হিন্দুরা ঝাড়খন্ড ছাড়ো’স্লোগান তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়টি তদন্তের জন্য ঝাড়খন্ড হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়ায় তিনি আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চান। এই তদন্তের জন্য কেন্দ্র শীঘ্র ঝাড়খন্ড সরকারের সহায়তায় একটি কমিটি গঠন করবে।
(Feed Source: zeenews.com)