সুনীতার ঘটনা থেকে শিক্ষা, গগনযান নিয়ে তাড়াহুড়ো করবে না ইসরো

সুনীতার ঘটনা থেকে শিক্ষা, গগনযান নিয়ে তাড়াহুড়ো করবে না ইসরো

 

মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। এই প্রথম মানুষ বসিয়ে আকাশে উড়বে গগনযান। সারা বিশ্ব এখন ইসরোর দিকে তাকিয়ে। গগনযান মিশন ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বড় কথা বললেন এস সোমনাথ। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ এদিন বলেছেন, ‘বোয়িং স্টারলাইনারের সঙ্গে যা ঘটেছে সেরকম কিছু আবার ঘটুক তা আমি চাই না।’

বছরের শেষ নাগাদ উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত গগনযান। তবে, বোয়িং স্টারলাইনারের সঙ্গে যা ঘটে যাওয়া ঘটনার সমান বিপাকে পড়তে নারাজ ভারত। তাই ইসরোর আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত বলে জানিয়েছেন ইসরো প্রধান।

বোয়িং স্টারলাইনারের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছে

নাসার বোয়িং স্টারলাইনার মিশন উল্লেখ করে, এস. সোমনাথ নিজেই এদিন বলেছেন যে এই মহাকাশযানের প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি মহাকাশচারীদের মহাকাশে নিয়ে গিয়েছিল গত ৫ জুন। ৭ সেপ্টেম্বর পৃথিবীতে ফিরেও এসেছিল যানটি। তবে কোনও মহাকাশচারী এতে ফিরে আসতে পারেনি। প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আট দিনের বদলে আট মাস ধরে থাকতে বাধ্য হন। জানা গিয়েছে, এবার ফেব্রুয়ারিতে স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে।

পৃথিবী বাসযোগ্য নাও হতে পারে

ইসরো-এর ভেনাস মিশন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, সোমনাথ বলেছেন যে শুক্র অন্বেষণের জন্য ইতিমধ্যেই ভেনাস অরবিটার মিশন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। এই মিশনের জন্য ১,২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সোমনাথ আরও বলেন, ভবিষ্যতে পৃথিবী বাসযোগ্য নাও হতে পারে। তাই, মঙ্গল এবং শুক্রে ঘটতে থাকা বিভিন্ন পরিবর্তনগুলি অধ্যয়ন করা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

এরই পাশাপাশি, স্পেস এক্সপোর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং মহাকাশ খাতে বিনিয়োগের জন্য স্টার্টআপগুলোর আগ্রহ দেখে অভিভূত সোমনাথ। বলেন, শিল্পের কাজ দেখে আমি খুব মুগ্ধ। আজ, আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেক স্টার্টআপ তাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট তৈরি করছে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া, চিন এবং জাপানও ২০৩০ সালের মধ্যে শুক্রে মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এমন পরিস্থিতিতে, ২০২৮ সালের মধ্যে ইসরো তার ভেনাস মিশন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আবার সোমনাথ বলেছেন, যদিও শুক্র আমাদের নিকটতম গ্রহ, তবুও এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কারণ শুক্রের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় শতগুণ ঘন।

(Feed Source: hindustantimes.com)