লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই এই দুর্গাপুজোর সম্বল, কেন বলছেন উদ্যোক্তারা ?

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই এই দুর্গাপুজোর সম্বল, কেন বলছেন উদ্যোক্তারা ?

Durga Puja 2024: দত্তপুকুরের কালাচাঁদ পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে একটি পুজো হয়। তবে এবারে পাড়ার মহিলারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলাদাভাবে দুর্গাপুজোর আয়োজনের। সেই পুজোর আয়োজনেই মূল অর্থ জোগাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। সম্প্রতি দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) উদ্যোগের কথা পাড়ারই কয়েকজন মহিলার মাথায় আসে। এরপর ধীরে ধীরে শুরু হয় প্রস্তুতি। একে একে পুজো কমিটিতে যুক্ত হতে থাকেন পাড়ার অন্যান্য মহিলারাও। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭০। কিন্তু পুজোর জন্য চাই চাঁদা। প্রাথমিকভাবে নিজেদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Durga Puja 2024 Lakshmir Bhandar) থেকেই তার আয়োজন করলেন উদ্যোক্তারা।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই পুজোর উৎস

কালাচাঁদ পাড়া অধিবাসীবৃন্দের পুজো আয়োজনে মহিলাদের প্রধান সম্বল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কিন্তু কেন ? এই প্রসঙ্গে পুজো কমিটির সম্পাদিকা নন্দিতা সিকদার জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে তারা বর্তমান সরকারের থেকে এই সুবিধা পাচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) বাবদ প্রতি মাসে ১০০০ টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসে। চলতি বছরই তাদের প্রথম পুজো। আর সেই পুজোর প্রসঙ্গ উঠতে হাজার টাকা দিয়েই পুজো শুরু করার কথা ভাবেন তাঁরা।

আর জি কর প্রসঙ্গে…

আর জি করের (RG Kar Update) নারকীয় ধর্ষণ কাণ্ডের পর বিভিন্ন মহলে পুজো বয়কটের ডাক উঠেছে। চলতি বছরের পুজোয় যোগ না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। এই প্রসঙ্গে কী বলছেন কালাচাঁদ পাড়া অধিবাসীবৃন্দ কমিটির সদস্যারা? তাঁদের কথায়, পুজোর উপর নির্ভর করেই অধিকাংশ মানুষের রোজগার হয়। প্রতি বছর তাই সিংহভাগ মানুষ পুজোর জন্য অপেক্ষাও করেন। তাই পুজো বা উৎসব বন্ধ করা উচিত নয় বলেই মন্তব্য সম্পাদিকা নন্দিতা সিকদারের। তবে এর পাশাপাশি আরেকটি কথাও জানাচ্ছেন এই পুজোর সম্পাদিকা। তাঁর কথায়, উৎসবের পাশাপাশি আর জি কর কাণ্ড (RG Kar News) নিয়ে প্রতিবাদও জারি থাকবে।

উৎসবে আছি, প্রতিবাদেও…

উৎসব ও প্রতিবাদ দুটোই জরুরি বলে জানাচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁদের কথায়, প্রথমবারের পুজো বলে সাদামাটা আয়োজনের মায়ের আরাধনা করা হবে। এবারের পুজোয় মাকে ডাকের সাজে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন কালাচাঁদ পাড়া অধিবাসীবৃন্দ কমিটির সদস্যারা। ইতিমধ্যে চলতি মাসের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর কাজ। পরের মাসে যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে, তারাও সঙ্গে সঙ্গে পুজোর চাঁদা দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন কমিটিকে।

(Feed Source: hindustantimes.com)