মুম্বই: বাবার ভয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর ফারহান কুরেশি। কিন্তু ফটোগ্রাফি ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। র্যাঞ্চোর কথায়, জীবন বদলে যায় ফারহানের। ইঞ্জিনিয়ারিং ছেঁড়ে আঁকড়ে ধরেন ক্যামেরাকেই। হন অন্যতম সফল ফটোগ্রাফার।
ইরিন ওয়েডের গল্পটাও তেমনই। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু ওকালতি শুরুর পর বুঝতে পারেন, এটা তাঁর জন্য নয়। কালবিলম্ব করেননি ইরিন। ওকালতি ছেড়েছুঁড়ে খুলে বসেন রেস্তোরাঁর ব্যবসা। শুরু করেন ‘হোমরুম’। এখন তাঁর রেস্তোরাঁর ম্যাক অ্যান্ড চিজের দুনিয়াজোড়া সুখ্যাতি। ফারহানের মতো ইরিনও খুঁজে পেয়েছেন জীবনের আসল মানে।
মাত্র এক দশকের মধ্যে বিশ্বের সফল ব্যবসায়ীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ইরিন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ছাপা হয়েছে তাঁর জীবনের গল্প। মজার বিষয় হল, কর্পোরেট আইনজীবী হিসাবে তিনি যে টাকা উপার্জন করতেন, রেস্তোরাঁর ব্যবসায় এক বছরে তিনি দ্বিগুণেরও বেশি টাকা আয় করেছেন।
ফরচুন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরিন বলেছেন, “এই পৃথিবীতে সুখে কাটাতে চেয়েছি আমি। যাঁরা আমাকে ভালবাসে তাঁদের সবাইকে নিয়ে চলতে চেয়েছি। আর চেয়েছি বাকি পৃথিবীও আমার মতো ভাবুক। আমি শুধু ম্যাক অ্যান্ড চিজের রেস্তোরাঁ খুলতে চেয়েছিলাম। রূপকথায় যেমনটা শুনেছি, সেভাবে কাটাতে চেয়েছি জীবনটা।“
কিন্তু অতৃপ্তি ছিল। সেটাই তাড়িয়ে বেরিয়েছে ইরিনকে। তাঁর কথায়, “আমেরিকার নামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হই। সান ফ্রান্সিসকোতে কর্পোরেট আইনজীবী হিসাবে কাজ করতাম। ককটেল পার্টিতে নিজেকে কেউকেটা মনে হত। স্যুট, বুট পরে ঘুরতাম। আমেরিকার নামী কোম্পানির হয়ে লড়েছি। কিন্তু মনের কোথাও একটা না পাওয়া কাজ করত। মনে হত, আমি এমন একটা খেলা খেলছি, যেটা আমার ভাল লাগে না। কিন্তু জীবনকে নিখুঁত করার জন্য চেষ্টার কসুর করিনি কোনওদিন।’’
‘দ্য ম্যাক অ্যান্ড চিজ মিলিয়নেয়ার: বিল্ডিং এ বেটার বিজনেস বাই থিঙ্কিং আউটসাইড দ্য বক্স’ নামে একটি বইো লিখেছেন ইরিন। তাঁর কথায়, “আমি নিজে হাজারের বেশি ম্যাক অ্যান্ড চিজের পদ রেঁধেছি। এক মেট্রিক টন চিজ গ্রেত করেছি। হাজার হাজার পাউন্ড পাস্তা সিদ্ধ করেছি। এত ক্রিম সস ফেটিয়েছি যে হাত ব্যথা হয়ে গিয়েছে। এসবেই আমি তৃপ্তি খুঁজে পেয়েছি। বুঝেছি সাফল্য কাকে বলে।“
(Feed Source: news18.com)