সঙ্গমে অত্যধিক রক্তক্ষরণ, অনলাইন সমাধান খুঁজতেই নষ্ট ৯০ মিনিট, তরুণীর মৃত্যুতে গ্রেফতার প্রেমিক

সঙ্গমে অত্যধিক রক্তক্ষরণ, অনলাইন সমাধান খুঁজতেই নষ্ট ৯০ মিনিট, তরুণীর মৃত্যুতে গ্রেফতার প্রেমিক

আমদাবাদ: শারীরিক মিলনের পর অত্যধিক রক্তক্ষরণ। ডাক্তার, অ্যাম্বুল্যান্স না ডেকে অনলাইন মাধ্যমে নিরাময়ের খোঁজ প্রেমিকের। প্রায় ৯০ মিনিট সময় চলে যায় সেই করতে গিয়ে। আর তাতেই মর্মান্তিক পরিণতি হল এক তরুণীর। বিনা চিকিৎসায় হোটেলের ঘরে বেঘোরে প্রাণ হারালেন তিনি। অত্যধিক রক্তক্ষরণের জেরেই ওই তরুণীর এমন পরিণতি হয় বলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃত তরুণীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (Gujarat News)

গুজরাতের আমদাবাদের নবসারি জেলার ঘটনা। ২৩ বছরের ওই তরুণী সবে নার্স হিসেবে স্নাতক হয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রেমিকের সঙ্গে সেখানকার একটি হোটেলে ওঠেন ওই তরুণী। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পর প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এতে ভয় পেয়ে যান তাঁর ২৬ বছরের প্রেমিকও। কিন্তু ডাক্তার বা অ্যাম্বুল্যান্স ডাকার পরিবর্তে ইন্টারনেট মাধ্যমে নিরাময় খুঁজতে শুরু করেন তিনি। (Viral News)

পুলিশ জানিয়েছে, রক্তপাত কী ভাবে বন্ধ করা যায়, প্রায় ৯০ মিনিট ধরে ইন্টারনেটে বার বার করে খোঁজ করেন মৃত তরুণীর প্রেমিক। প্রথমে কাপড় দিয়ে রক্তপাত আটকানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই সমাধান হয়নি। অত্যধিক রক্তক্ষরণের জেরে একটা সময় পর অজ্ঞান হয়ে যান ওই তরুণী। আতঙ্কিত হয়ে এক বন্ধুকে হোটেলে ডাকেন ওই তরুণ।

এর পর ওই তরুণ এবং তাঁর বন্ধু মিলে মেয়েটিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রোগীকে ভর্তি না করে, সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে পৌঁছতে চিকিৎসকরা ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই তরুণ মেয়েটির মা-বাবাকেও ফোন করেন। তাঁরা যত ক্ষণে এসে পৌঁছন, সব শেষ হয়ে গিয়েছে।

সুরতের সরকারি হাসপাতালে তরুণীক দেহটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, সঙ্গমে সময় তরুণীর যৌনাঙ্গের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা হলে তরুণীকে বাঁচানো যেত বলে মনে করছে পরিবার। ধৃত প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ (অনিচ্ছাকৃত হত্যা), ২৩৮ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

(Feed Source: abplive.com)