অলিম্পিকে ফাইনালে উঠেও শেষ পর্যন্ত পদক হাতছাড়া হয়েছে কয়েক গ্রামের জেরে। এই আবহে কুস্তির ম্যাট থেকে অবসর গ্রহণ করে রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন ভিনেশ ফোগাট। প্রচারের সময় তাঁকে বেশ আক্রমণাত্মক সুরেই বিজেপিকে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে। এই আবহে কংগ্রেস ভোটে জিতলে জনপ্রিয় এই কুস্তিগিরকে কি মন্ত্রী করা হবে? এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আজ হরিয়ানায় ভোটগ্রহণ পর্ব। এই আবহে ভিনেশকে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এর জবাবে তিনি সাফ বুঝিয়ে দেন, হাইকমান্ডের ওপর তাঁর আস্থা আছে। (আরও
আজ হরিয়ানায় ভোট পর্ব চলাকালীন এএনআইয়ের সাংবাদিকের মুখোমুখি হন ভিনেশ ফোগাট। ভোট নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ভোট হরিয়ানার জন্য একটি বিশাল উৎসব। রাজ্যের জনগণের জন্য এটি একটি খুব বড় দিন। আমি রাজ্যের জনগণের কাছে এই একটি আবেদন করছি যাতে তাঁরা আজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ১০ বছর আগে যখন ভূপিন্দর হুডা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, রাজ্যে খেলাধুলার স্তর সত্যিই ভালো ছিল।’ এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কংগ্রেস যদি ভোটে জেতে, তাহলে কি তিনি মন্ত্রী হবেন? এর জবাবে ভিনেশ স্পষ্ট বলেন, ‘এটা আমার হাতে নয় (মন্ত্রী হওয়া), এটা হাইকমান্ডের হাতে।’ উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে জুলানা কেন্দ্র থেকে ভিনেশকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, আজ এক দফায় হরিয়ানার ৯০টি কেন্দ্রে এক দফাতেই ভোট হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে। হরিয়ানায় মূল লড়াই শাসকদল বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে। তবে এই ভোটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল এবং তাঁর নাতি তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালার দল জননায়ক জনতা পার্টি। হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা দু’কোটিরও বেশি। তাঁদের মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৬ লক্ষ। আর এবারের ভোটে ৯০টি আসনের জন্যে মোট প্রার্থী সংখ্যা ১০৩১। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন – বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনি (লডওয়া থেকে প্রার্থী হয়েছেন), কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা (প্রার্থী হয়েছেন গারহি সাম্পলা-কিলোই থেকে), জেজেপি নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা (প্রার্থী হয়েছেন উচানা কালান থেকে)।
(Feed Source: hindustantimes.com)