বাবা ভাঙ্গা, নস্ত্রাদামুস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, পশ্চিম এশিয়ায় কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা?

বাবা ভাঙ্গা, নস্ত্রাদামুস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, পশ্চিম এশিয়ায় কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা?

নয়াদিল্লি: আশঙ্কা সত্যি করে যুদ্ধ ঘনিয়ে আসছে পশ্চিম এশিয়ায়। একদিন আগেই ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। সেই নিয়ে চাপানউতরের মধ্যে এখনও গাজা এবং লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। আর তাতেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন জোরাল হচ্ছে। আর এ প্রসঙ্গে উঠে আসছে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীর কথা। আবার একই মর্মে ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে নস্ত্রাদামুসেরও। (Baba Vanga Predictions)

ভাঞ্জেলিয়া পন্দেভা গুশতেরোভা বাবা ভাঙ্গা নামে পরিচিত। দৃষ্টিহীন বাবা ভাঙ্গা ১৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি। ১২ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার পরই ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষমতা পান বলে দাবি ছিল বাবা ভাঙ্গার। যে যে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন তিনি, তার মধ্যে একাধিক মিলে গিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ৯/১১ হামলা। (World War 3)

পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীর প্রসঙ্গ উঠে আসছে। ঠিক কী বলেছিলেন তিনি? বাবা ভাঙ্গার দাবি ছিল, ২০২৪ সালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে। শুধু পশ্চিম এশিয়াই নয়, ইউরোপেও সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা, ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন, অর্থনৈতিক সঙ্কট, সাইবার হানা বাড়বে বলেছিলেন তিনি।

বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, পৃথিবীর তাবড় শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে। পরস্পরের উপর আঘাত হানবে তারা। এমনকি জৈব হাতিয়ারও পরীক্ষা করা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়ে গিয়েছেন তিনি। পরমাণু বোমার প্রয়োগে পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা চলবে বলে জানিয়েছিলেন। 

শুধু বাবা ভাঙ্গাই নন, ১৬ শতকের আর এক ভবিষ্যৎ গণনাকারী, নস্ত্রাদামুস খোদ এমন ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন। ‘Les Prophecies’ বইয়ে লিখেছিলেন, ‘লাল প্রতিপক্ষ ভয়ে সাদা ফ্যাকাশে হয়ে যাবে। বিপদ বাড়বে মহাসাগরের’। নস্ত্রাদামুসের এই ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্লেষণ করতে গিয়ে চিন এবং তাইওয়ান সংঘর্ষের কথা তুলে ধরেন কেউ কেউ। ভূরাজনীতিক সংঘাতে লোহিত সাগরের বাণিজ্য পথে বাধাবিঘ্ন দেখা দিতে শুরু করেছে, তার সঙ্গেও নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণীর মিল পান অনেকে।

বাবা ভাঙ্গা আরও বলে গিয়েছেন, 

    • ২০২৫ সালে ইউরোপে মারাত্মক যুদ্ধ বাঁধতে পারে
    • এতে ইউরোপে জনসংখ্যা হ্রাস পাবে
    • ২০২৮ সালে মানুষ বৃহস্পতি গ্রহে পৌঁছবে
    • ২০৩৩ সালে মেরুপ্রদেশের বরফের চাদর গলে গিয়ে সমুদ্রের জলস্তর উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাবে
    • ২০৭৬ সালে পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র কমিউনিজমের প্রত্যাবর্তন ঘটবে
    • ২১৩০ সালে পৃথিবীবাসী ভিনগ্রহীদের সংস্পর্শে আসবেন এবং দুই তরফে যোগাযোগ স্থাপন হবে
    • ৩০০৫ সালে মঙ্গল গ্রহে যুদ্ধ বাধবে
    • ৩৭৯৭ সালে পৃথিবী ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মানবজাতি সৌরজগতের অন্য গ্রহে সরে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে
    • ৫০৭৯ সালে পৃথিবীর অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে 

 তবে অনেক ক্ষেত্রে ভবিষ্যদ্বাণী না মেলার উদাহরণও রয়েছে।

(Feed Source: abplive.com)