গ্রীষ্ম থেকে বর্ষায় পা রাখা একদিকে যেমন আরামের, অন্যদিকে তেমনই এ সময় শিশুদের জন্য ভিড় করে আসে মরশুমি অসুখের আশঙ্কা ৷ সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয় শিশুর শরীরে ৷ এ সময় সন্তানের অসুস্থতা ঘিরে দিশেহারা হয়ে পড়েন বাবা মায়েরা ৷ আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে৷ গবেষণায় দেখা গিযেছে যখন বাইরের কোনও জীবাণু আমাদের শরীরকে আক্রমণ করে তখন হাইপোথ্যালামাস শরীরের তাপমাত্রা বাড়িযে দেয় ৷ অর্থাৎ সেটা সংক্রমণের নির্দেশ ৷
বাচ্চার জ্বর এলে বিচলিত না হয়ে কিছু নির্দেশ পালন করুন –
# হাতের কাছে রাখুন ডিজিটাল বা ম্যানুয়াল থার্মোমিটার ৷ সারা দিনে প্রতি ঘণ্টায় রেকর্ড করুন শিশুর দেহের তাপমাত্রা ৷ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ তাঁকে এই রেকর্ড দেখান ৷ অনেক সময় চিকিৎসকই পরামর্শ দেন তাপমাত্রার রেকর্ড রাখতে ৷
# জ্বর হয়েছে মানেই বাচ্চাকে মোটা জামাকাপড় পরিয়ে রাখবেন না ৷ স্থানীয় আবহাওয়ার উপযোগী পোশাকই পরাবেন ৷ বাচ্চার হাত ও পা উষ্ণ জলে ভাল করে মুছিয়ে হাল্কা পোশাক পরান ৷
# অসুস্থ থাকলে বাচ্চা খেতে চাইবে না৷ এ সময় খাওয়ার নিয়ে জোরাজুরি করবেন না ৷ কঠিন খাবার এ সময়ে দেবেন না ৷ তার বদলে দিন স্যুপ, ফলের রস. ডালের জলের মতো হাল্কা তরল খাবার ৷ সুস্থতার সঙ্গে আপনাআপনি ফিরে আসবে রুচি৷
# টেম্পারেচার খুব বেড়ে গেলে বা নামতে না চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চার কপালে জলপটি দিন ৷ স্নান একেবারে বন্ধ না করে মাথা ধুইয়ে দিতে পারেন ৷ হাল্কা উষ্ণ জল দিয়ে স্পঞ্জ করিয়ে দিন গা ৷
# অনেক অভিভাবক বাচ্চার জ্বর এলেই ফ্যান, এসি বন্ধ করে দেন৷ এখনকার চিকিৎসকরা কিন্তু এ সব করতে মত দেন না ৷ বরং এ সময় ঘুম দরকার ৷ তাই দেখবেন বাচ্চা যেন আরামে ঘুমোতে পারে ৷
# সবার শেষে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা৷ সব সময় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন ৷ তাঁর পরামর্শ নিন ৷ প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ান ৷ জ্বর সেরে গেলে অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করবেন না ৷ অ্যান্টিবাোটিকের কোর্স সম্পূর্ণ করুন ৷ নিজের থেকে ডাক্তারি একদম করতে যাবেন না৷