Sleeping Tips: রাতে ঘুম হচ্ছে না! এই কাজটি করলেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘুমের দেশে হারিয়ে যাবেন

Sleeping Tips: রাতে ঘুম হচ্ছে না! এই কাজটি করলেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘুমের দেশে হারিয়ে যাবেন

Sleeping Tips:  একটি ভাল এবং গভীর ঘুম পেতে, আপনার দৈনন্দিন রুটিন এবং খাদ্যাভ্যাসে ভারসাম্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম এবং একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। বিস্তারিত জানুন

সুস্থ থাকার জন্য ঘুম খুবই জরুরি। আপনার প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। কেউ কেউ রাতে ঘুমাতে পারেন না। তাই সকালে তারা তাদের কাজ ঠিক মতো করতে পারে না।

একটি ভাল এবং গভীর ঘুম পেতে, আপনার দৈনন্দিন রুটিন এবং খাদ্যাভ্যাস ভারসাম্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম এবং একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। রাতের খাবারের পরপরই ঘুমানোর পরিবর্তে অন্তত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর ঘুমালে হজমশক্তি ও ঘুম ভালো হবে।

রাতের খাবার হালকা এবং ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত। যাতে পেটে চাপ না দিয়ে পরিপাকতন্ত্র সহজে কাজ করে। আয়ুর্বেদের মতে, রাতের খাবারের পর গরম জল পান করলে হজমশক্তি ভালো হয়। দুধ ঘুমেও সাহায্য করে। তাই ঘুমানোর আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ পান করলে ঘুমের মান ভালো হয়।

ঘুমানোর আগে মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভির মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার ঘুমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই ডিভাইসগুলি থেকে নির্গত নীল আলো মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন অন্তত চার থেকে পাঁচ ফুট দূরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি বিকিরণের প্রভাব হ্রাস করে।

আপনার যদি ঘনঘন মোবাইল চেক করার অভ্যাস থাকে তবে তা ঘরের বাইরে রাখুন। এই পদ্ধতি আপনার মন শান্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, নিয়মিত ব্যায়াম এবং প্রাণায়াম গভীর ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে। যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং প্রাণায়ামের মতো অনুশীলনগুলি মানসিক প্রশান্তি প্রদান করতে পারে এবং ঘুমের উন্নতি করতে পারে।

প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিটের ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘুমানোর আগে হালকা হাঁটাও ঘুমের জন্য সাহায্য করতে পারে। রাতে কমপক্ষে ১০০ ধাপ হাঁটা রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে এবং ঘুমের মান উন্নত করে।

মানসিক শান্তিও বিশ্রামের ঘুমের চাবিকাঠি। যখন মানসিক চাপ থাকে, এটি ঘুমকে প্রভাবিত করে। অশ্বগন্ধা এবং সর্পগন্ধার মতো আয়ুর্বেদিক ভেষজ মানসিক চাপ কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিনের কাজগুলো সময়মতো সম্পন্ন করা এবং মানসিক চাপ কমাতে বিরতি নেওয়া ভাল। অশ্বগন্ধা এবং সর্পগন্ধার মতো ভেষজগুলি মানসিক ভারসাম্য উন্নত করে এবং একাগ্রতা বাড়ায়। যাইহোক, শুধুমাত্র একজন স্বাস্থ্য পেশাদারের পরামর্শে এগুলি গ্রহণ করা নিরাপদ।

ডিসক্লেইমার – উপরের বিষয়গুলো আপনাকে মানতেই হবে তার কোনও মানে নেই, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷ কোনও বিপদ হলে নিউজ 18 বাংলা কোনওভাবেই দায়ি থাকবে না৷

(Feed Source: news18.com)