Mustard in Winter: শীতে কিছু নিয়ম মেনে সরষের চাষ করলে লাভের পরিমাণ বিশাল হবে! জেনে নিন সেই নিয়মগুলি
শীতে চাষ করুন সরষে! ব্যাপক লাভ! মানতে হবে এই টিপস! জানুন
সরষে
উত্তর দিনাজপুর: শীতকালীন ফসল গুলির মধ্যে অন্যতম হল সরষে। রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলাতেই শীতের শুরুতে মাঠ ঢেকে যায় সরষে ফুলে।স্বল্প খরচ ও কম পরিশ্রমের কারণে দিন প্রতিদিন চাষিদের মধ্যে বাড়ছে সরিষা চাষের আগ্রহ। উন্নত পদ্ধতিতে সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। মূলত অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে শুরু হয় এই সরিষার চাষ।
তবে নিয়ম মেনে সরিষা চাষ করলেই পাওয়া যাবে কিছু বাড়তি ফলন। এই সরিষা চাষের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞ তথা প্রাক্তন কৃষি অধিকর্তা রাধিকা রঞ্জন দেবভূতি। রাধিকাবাবু জানান মূলত তিন ধরনের সরিষা বীজ পাওয়া যায়।১)টোরি সরিষা ২) শ্বেত সরিষা ৩) রাই সরিষা তবে উত্তর দিনাজপুর জেলায় মূলত শ্বেত সরিষা ও রাই সরিষার চাষ হয়ে থাকে।সরিষা বীজ বপনের ৭০ দিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে সরিষা সংগ্রহ করা যায়। কৃষি বিশেষজ্ঞ রাধিকা রঞ্জন দেবভূতি জানান ,সঠিক পদ্ধতি মেনে সরিষা চাষ করলে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৬-৭ মণ সরিষা উৎপাদন সম্ভব।সরিষা চাষ করার জন্য জল নিকাশের সুবিধা যুক্ত জমি প্রয়োজন।
এছাড়াও মাটি হতে হবে বেলে দোআঁশ বা দোঁআশ। সরিষা চাষে জমিতে জৈব সার বেশি দিতে হয়। সরিষা গাছে এক ধরনের জাত পোকা দেখা যায় যা গাছের ফুলগুলোকে নষ্ট করে দেয় এর জন্য সরিষা গাছে সোহাগা বা বোরাক্স ব্যবহার করতে হয়। । সরিষার যখন ফুল আসে তখন জমিতে নিমটো বা নিমের তেলকে স্প্রে করে নিতে হবে। প্রতি ১০ লিটার জলে এক বিঘা জমিতে ১০০ মিলিলিটার জল লাগবে। এবং সেই জলে ওষুধ মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।সরিষার তেলের রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ। সরিষার খোল পশুখাদ্য ও জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধিও কাজে ব্যবহার হয়। সরিষার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া জমিতে সরিষার আবাদ করলে ওই জমিতে সরিষার পাতা পড়ে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়।
পিয়া গুপ্তা